চণ্ডীগঢ়: দলের অন্দরের কোন্দল সামলাতেই ব্যস্ত কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অমরিন্দর সিংয়ের ইস্তফার পর চলতি সপ্তাহেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন নভজ্যোত সিং সিধু। ইস্তফাপত্র প্রত্যাহারের জন্য একাধিক শর্ত রেখেছেন সিধু, সেই শর্ত পূরণ করা হবে কিনা, সেই ভাবনাচিন্তার মাঝেই সিধুর বিকল্প কে হবেন, তা নিয়েও ঝাড়াই-বাছাই পর্ব শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, সুনীল জাকর সহ মোট তিনজনের নাম উঠে এসেছে পরবর্তী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে।
সূত্রের খবর, বুধবার অবধি নভজ্যোত সিং সিধুকে ইস্তফা পত্র প্রত্যাহারের কথা বললেও বর্তমানে সিধুর পরিবর্তে কে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নিতে পারেন, সেই বিষয় নিয়েই চিন্তা ভাবনা চলছে। দুইবারের বিধায়ক কুলজিৎ সিং নাগরা, সাংসদ রভনীত সিং বিট্টু ও সুনীল জাকরের নাম উঠে এসেছে পঞ্জাবের নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে।
এর আগে অমরিন্দর সিং মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরও মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে প্রথম পছন্দ হিসাবে সুনীল জাকরের নামই উঠে এসেছিল। অম্বিকা সোনীও মুখ্যমন্ত্রী হতে না চাওয়ায় তাঁর মুখ্য়মন্ত্রী পদ প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছিল। তবে শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলে চরণজিৎ সিং চন্নিকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়।
সূত্রের দাবি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে থাকা বাকি দুই সাংসদ-বিধায়কের তুলনায় কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের সদস্য সুনীল জাকরের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, কারণ একদিকে তাঁর জন্য যেমন প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সমর্থন রয়েছে, অন্যদিকে, দলের বাকি বিধায়কদের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ভাল বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই দলের তরফে একাধিকবার নভজ্যোত সিং সিধুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় ও তাঁকে ইস্তফা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়। গতকাল পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নিও তাঁকে দলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেন। কিন্তু সিধু তাঁর অবস্থান থেকে একচুলও সরতে নারাজ বলেই জানিয়েছেন।