Noida Twin Tower: ৯ বছরের লড়াইয়ে হার, টুইন টাওয়ার ভাঙায় কত টাকা ক্ষতি হল নির্মাণকারী সংস্থার?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 29, 2022 | 9:40 AM

Noida Twin Tower: বিল্ডিং ধ্বংসের পরও বৈধ নির্মাণ ছিল টুইন টাওয়ার, এই দাবিতেই টিকে রয়েছে সুপারটেক সংস্থা। এই বিষয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান বলেন, "আমরা নয়ডা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেক অনুমতি সাপেক্ষেই এই দুটি টাওয়ারের নির্মাণ করেছিলাম।" 

Noida Twin Tower: ৯ বছরের লড়াইয়ে হার, টুইন টাওয়ার ভাঙায় কত টাকা ক্ষতি হল নির্মাণকারী সংস্থার?
টুইন টাওয়ারের ধ্বংসাবশেষ। ছবি:PTI

Follow Us

নয়ডা: উচ্চতায় হার মানিয়েছিল স্ট্যাচু অব লিবার্টিকেও, কোটি কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা নয়ডার সেই টুইন টাওয়ার ভেঙে গুঁড়িয়ে যেতে সময় লেগেছে মাত্র ৯ সেকেন্ড। ৪০ তলার এই জোড়া বহুতল ভাঙার জন্যই কেবল খরচ হয়েছে ২০ কোটি টাকা, এমনটাই সরকারি সূত্রে খবর। কিন্তু যারা এই গগনচুম্বী টাওয়ার তৈরি করেছিল, তাদের কত টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে হল জানেন? রবিবার নয়ডার টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার পরই নির্মাণকারী সংস্থা সুপারটেক লিমিটেড সংস্থার তরফে জানানো হল, এই বিশাল ইমারত ভেঙে ফেলায় তাদের প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়তে হল। এরমধ্যে নির্মাণ খরচের পাশাপাশি ফ্ল্যাট ক্রেতাদের সুদ সহ টাকা ফেরত দেওয়াও অন্তর্গত।

১০০ মিটার উচ্চতার টুইন টাওয়ার অ্যাপেক্স ও কেয়ান-কে রবিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ভেঙে ফেলা হয়। বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের তরফে এই টুইন টাওয়ারকে ভেঙে ফেলা হয়। প্রায় ৩৭০০ কেজি বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছিল বিস্ফোরণ ঘটাতে। শুধুমাত্র টুইন টাওয়ার ভেঙে ফেলার জন্যই খরচ হয়েছে ২০ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৫ কোটি টাকা দিতে হয়েছে সুপারটেক সংস্থাকে। বাকি ১৫ কোটি টাকা ইমারতের ভাঙা টুকরো বিক্রি করে তোলা হবে বলেই জানা গিয়েছে।

টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পরই সুপারটেক সংস্থার চেয়ারম্যান আরকে অরোরা বলেন, “আমাদের সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হল। জমি কিনতে, বিল্ডিংগুলি নির্মাণের জন্য, অনুমতির জন্য বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে টাকা দেওয়ার পাশাপাশি ১২ শতাংশ সুদের হারে ওই দুটি টাওয়ারে যারা ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, তাদের অ্যাডভান্স বা ফ্ল্যাটের সম্পূর্ণ দাম ফেরত দিতে হয়েছে।”

বিল্ডিং ধ্বংসের পরও বৈধ নির্মাণ ছিল টুইন টাওয়ার, এই দাবিতেই টিকে রয়েছে সুপারটেক সংস্থা। এই বিষয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা নয়ডা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেক অনুমতি সাপেক্ষেই এই দুটি টাওয়ারের নির্মাণ করেছিলাম।”  উল্লেখ্য, ৮ লক্ষ স্কোয়ারফুটের উপরে তৈরি এই টুইন টাওয়ারের মোট ৯০০টি ফ্ল্যাটের বর্তমান বাজার দর প্রায় ৭০০ কোটিরও বেশি ছিল।

টুইন টাওয়ার ধ্বংস করার জন্য যে সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল, এডিফাইস ইঞ্জিনিয়ারিং নামক ওই সংস্থাকেও ১৭,৫ কোটি টাকা দিয়েছে সুপারটেক সংস্থা, এমনটাই জানান চেয়ারম্যান আরকে অরোরা। বিল্ডিংগুলির জন্য ১০০ কোটির যে বিমা করানো হয়েছিল, সেই টাকাও দিতে হয়েছে সংস্থাকে।

Next Article