নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে ২৬,০০০ চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। এর আগের শুনানিতে পুরো প্যানেল নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। প্যানেল বাঁচাতে মরিয়া সওয়াল করে রাজ্য সরকার। আজ, মঙ্গলবারই চূড়ান্ত হতে পারে ২৬,০০০ চাকরির ভবিষ্যৎ। মামলায় অংশ নিচ্ছেন SSC চেয়ারম্যান। এদিকেও ‘চাকরিহারা যোগ্য’ শিক্ষকরা চাকরি ফেরতের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
সিবিআই-এর রিপোর্টে পাঁচ হাজারেরও বেশি নিয়োগে যে দুর্নীতি রয়েছে, তা আগের শুনানিতেই স্বীকার করেছে নিয়েছিল রাজ্য। রাজ্যের তরফে আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী শুনানিতে জানিয়েছিলেন, যে বেনিয়মগুলো হয়েছে, তাতে রাজ্যের ক্যাবিনেট ইচ্ছা করে সেগুলি প্রোটেক্ট করার চেষ্টা করেছে।
প্রধান বিচারপতি তখন জানতে চেয়েছিলেন, পৃথকীকরণ কি করা সম্ভব? অর্থাৎ যোগ্য অযোগ্যদের কি আলাদা করা সম্ভব? রাজ্যের আইনজীবী জানান, রাজ্য সরকার সেটাই করতে চেয়েছে, কারণ সিবিআই একাধিক তথ্য জমা করেছে।
এসএসসি-র তরফে আইনজীবী জয়দীপ ঘোষও জানিয়েছিলেন, পৃথকীকরণ সম্ভব। প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। তাঁরা ২০১৬ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করেন। তার ফলে চাকরি যায় ২৫,৭৫৩ জনের। পাশাপাশি চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয় ওই চাকরিপ্রাপকদের। কিন্তু প্যানেল বাতিল হয়ে যাওয়ায়, চাকরিহারা হন যোগ্যরাও। আজ তাঁদেরই ভাগ্য নির্ধারণ।