New Lady of Justice Statue: ‘পরিবর্তনের পিছনে যুক্তি কী?’, লেডি অব জাস্টিসের নতুন মূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন সিব্বল
Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলের তরফে প্রবীণ আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বলই শীর্ষ আদালতের আমূল পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, লেডি অব জাস্টিসের মূর্তিতে বদল আনার বিষয়ে কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি।
নয়া দিল্লি: আইন আর ‘অন্ধ’ নয়। সুপ্রিম কোর্টে বসেছে লেডি অব জাস্টিসের নতুন মূর্তি। সেই মূর্তির চোখ কালো কাপড়ে বাঁধা নেই, হাতে নেই তরোয়াল। বরং এই ‘লেডি অব জাস্টিস’ খোলা চোখে সবকিছু দেখছে। হাতে তরোয়ালের বদলে জায়গা পেয়েছে সংবিধান। দেশের শীর্ষ আদালতে লেডি অব জাস্টিসের এই নতুন মূর্তি দেখে যেখানে সবাই ধন্য ধন্য করছেন, সেখানেই আপত্তি তুলল সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন। অভিযোগ, মূর্তি ও প্রতীক বদল নিয়ে বার কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি।
সুপ্রিম কোর্টের বার কাউন্সিলের তরফে প্রবীণ আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বলই শীর্ষ আদালতের আমূল পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, লেডি অব জাস্টিসের মূর্তিতে বদল আনার বিষয়ে কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করা হয়নি। আইনজীবীদের জন্য যেখানে ক্যাফে তৈরির দাবি করা হয়েছিল, সেখানে মিউজিয়াম তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আইনজীবীদের আপত্তি সত্ত্বেও ইতিমধ্যেই সেই মিউজিয়াম তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।
বার কাউন্সিলের আনা অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, “সুপ্রিম কোর্টের এগজেকিউটিভ কমিটি বার অ্যাসোসিয়েশন লক্ষ্য করেছে যে সুপ্রিম কোর্টে বেশ কিছু পরিবর্তন, যেমন লেডি অব জাস্টিস, প্রতীকের পরিবর্তন বার কাউন্সিলের সঙ্গে পরামর্শ না করেই করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থায় আমরা সমান স্টেকহোল্ডার, কিন্তু এই পরিবর্তনগুলি সম্পর্কে আমাদের অবগত করা হয়নি। কী কারণে এই পরিবর্তন করা হল, সেই যুক্তিও জানা নেই।”
সুপ্রিম কোর্টের হাই সিকিউরিটি জোনে মিউজিয়াম তৈরির নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বার কাউন্সিলের সদস্যরা। তার বদলে সেখানে একটি লাইব্রেরি ও ক্যাফে-লাউঞ্জ তৈরির দাবি জানিয়েছেন কপিল সিব্বল সহ অন্যান্যরা।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশেই লেডি অব জাস্টিসের মূর্তিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। ব্রিটিশ যুগের চিন্তাধারা থেকে ভারতকে বের করে আনার জন্যই এই মূর্তিতে পরিবর্তন আনার কথা বলেছিলেন প্রধান বিচারপতি। “আইন অন্ধ নয়। আইনের চোখে সকলে সমান” -এই বার্তা দেওয়ার জন্যই লেডি অব জাস্টিসের চোখ থেকে কালো পর্দা সরিয়ে ফেলা হয়েছে।