নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরের লোকসভা ও বিধানসভা আসনের পুনর্বিন্যাসের কাজ চালিয়েছে কেন্দ্রে। এই কাজের জন্য প্যানেলও তৈরি করা হয়েছিল। গত বছর মে মাসে সেই কাজ সম্পন্নও হয়েছে। কিন্তু এই পুনর্বিন্যাসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। বিজেপি-র সুবিধা দেখে পুনর্বিন্যাসের অভিযোগও উঠেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনী ক্ষেত্রের পুনর্বিন্যাসের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেন শ্রীনগরে দুই ব্যক্তি। সেই পিটিশনে জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্বিন্যাস বাতিল করার আর্জি জানানো হয়। সোমবার সেই পিটিশন খারিজ করল দেশের শীর্ষ আদালত। এই মামলা খারিজের জেরে কেন্দ্রের করা পুনর্বিন্যাস বজায় থাকল। সেই পুনবিন্যাসের উপর ভিত্তি করেই আগামী দিনে লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট হবে এই রাজ্যে।
২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে ভাগ হয়ে যায় জম্মু ও কাশ্মীর। একটি অংশ জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের ম্যাপ যায় বদলে। ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির মধ্য দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর হারায় বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা। এর পরই জম্মু ও কাশ্মীরে পুনর্বিন্যাসের কাজ শুরু করে কেন্দ্র। প্রাক্তন বিচারপচতির নেতৃত্বে গঠিত হয় প্যানেল। সেই প্যানেল পুনর্বিন্যাসের কাজ শেষ করে ২০২২ সালের মে মাসে। পুনর্বিন্যাসের পর জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা কেন্দ্রের আসন দাঁড়ায় ৯০। এর মধ্যে জম্মুতে রয়েছে ৪৩টি বিধানসভা আসন এবং কাশ্মীরে ৪৭টি। সেখানে লোকসভার আসন হয়েছে পাঁচটি। যদিও পুনবিন্যাসের আগে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা কেন্দ্রে ছিল ১১১টি।
এই পুনবিন্যাস নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন শ্রীনগরের বাসিন্দা হাজি আব্দুল গনি খান এবং মহম্মদ আয়ুব মাত্তো। এই পুনর্বিন্যাস কার্যকলাপের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। তা নিয়ে পিটিশন দায়ের করছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। সেই আবেদনই খারিজ করল আদালত। যদিও এই পুনর্বিন্যাস নিয়ে বিরোধীরাও অভিযোগ করেছেন শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে। তাদের অভিযোগ, বিজেপির সুবিধা করে দিতে এ রকম পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।