নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশ নিয়েই প্রশ্ন তুললেন সুপ্রিম কোর্টেরই আইনজীবী। শীর্ষ আদালত ও ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল গাড়ির মেয়াদ সংক্রান্ত যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী অনুরাগ সাক্সেনা। সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী হয়ে তিনি কী ভাবে এই আবেদন করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করল শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, এরকম একটি আবেদন করার জন্য তাঁকে ভর্ৎসনাও করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিচারপতি বিএল নাগেশ্বর রাও, বিচারপতি এ এস বোপান্না ও বিচারপতি বিএস গাভাই-এর ডিভিশন বেঞ্চে ছিল এই মামলার শুনানি।
সুপ্রিম কোর্ট ও ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী, দিল্লিতে ১০ বছরের পুরনো ডিজেল চালিত গাড়ি ও ১৫ বছরের পুরনো পেট্রোল চালিত গাড়ি চালানো যাবে না। এই নির্দেশ নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী অনুরাগ সাক্সেনা। তাঁর দাবি, আদতে এতে পরিবেশের আরও বেশি ক্ষতি হচ্ছে।
ব্যাখ্যা দিয়ে আইনজীবী আবেদনে উল্লেখ করেছেন, এ ভাবে পুরনো গাড়ি বন্ধ করে দিলে আরও বেশি কার্বন নির্গত হবে বাতাসে। কারণ হিসেবে তিনি মনে করেছেন, পুরনো গাড়ি বন্ধ হয়ে গেলে নতুন গাড়ির তৈরি হবে আরও বেশি করে। আর সেই গাড়ি তৈরি করতে কার্বন নির্গত হয়ে মিশবে বাতাসে। পাশাপাশি, এই নিয়মটা কেন শুধুমাত্র দিল্লির জন্য? কেন একেক জায়গায় একেক রকম নিয়ম থাকবে? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
কিন্তু আইনজীবীর এই আবেদন শুনে ক্ষুব্ধ হয় তিন বিচারপতির বেঞ্চ। তাঁরা উল্লেখ করেন, সুপ্রিম কোর্ট ও ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল আগেই এই বিষয়টিতে নজর দিয়েছে ও সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। আর সেই নির্দেশের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল আইনজীবীরা। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে এ দিন মামলাকারীকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি সব ব্যাপার জেনেও সত্যিই এই মামলা করতে চান কি না। আইনজীবী জানান, তাঁর মনে হয়েছে ওই নিয়মের কোনও ভিত্তি নেই। এরপরই আইনজীবীকে সতর্ক করেন বিচারপতিরা। ডিভিশন বেঞ্চের তরফে তাঁকে বলা হয়, দৃষ্টান্তমূলকভাবে মামলাকারীর ওপর ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এমন মন্তব্য করা হতে পারে, যাতে আইনজীবীর পেশার ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলেও সতর্ক করা হয়। ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে দিল্লির গাড়ির মেয়াদ সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।