ক’দিন আগেই দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতির বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল নগদ প্রায় ১৫ কোটি টাকা। এই খবর সামনে আসতেই শুরু হয় বিতর্ক। তার পরেই বিচারপতিদের সম্পত্তির বিষয়ে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁদের মোট সম্পদের ঘোষণা জনসমক্ষে প্রকাশ করতে সম্মত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ আদালতের বৈঠকে বিচারকরা তাঁদের সম্পদের পরিমাণ প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেন। যা সুপ্রিম কোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেখতে পাওয়া যাবে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট অনুসারে, সম্পদের ঘোষণা প্রকাশ সম্পূর্ণরূপে স্বেচ্ছানুসারে হবে।
ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সহ ৩০ জন বিচারপতি তাঁদের সম্পদের ঘোষণাপত্র জমা দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, “সুপ্রিম কোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিচারকদের দায়িত্ব গ্রহণের পর এবং যখনই কোনও উল্লেখযোগ্য ধরণের সম্পদ অর্জন করা হয়, তখনই প্রধান বিচারপতির কাছে তাঁদের সম্পদের ঘোষণাপত্র জমা দিতে হবে। এর মধ্যে ভারতের প্রধান বিচারপতির ঘোষণাপত্রও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে সম্পদের ঘোষণাপত্র প্রকাশ বিচারকের স্বেচ্ছানুসারে হবে।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, সুপ্রিম কোর্টের সকল বিচারপতি তাঁদের সম্পদের বিবরণ জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে সেই বিবরণ এখনও জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারক যশবন্ত ভার্মার সরকারি বাসভবনে অগ্নিকাণ্ডের পর পুড়ে যাওয়া নগদ অর্থের বান্ডিল আবিষ্কারের অভিযোগ নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্কের পর এই ঘটনাটি ঘটেছে।
বিচারপতি ভার্মা জানান, তাঁর বাসভবনের স্টোররুমে এই টাকা কী ভাবে এল তা তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ জানেন না। নগদ অর্থ তছরুপের বিতর্কের মধ্যে বিচারপতি ভার্মাকে সম্প্রতি দিল্লি হাইকোর্ট থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলি করা হয়েছে।