Supreme Court of India : একদিনে ৪৪ টি মামলায় রায়দান, গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর রেকর্ড সুপ্রিম কোর্টের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Jul 12, 2022 | 2:51 PM

Supreme Court of India : গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর গতকাল একদিনে ৪৪ টি মামলায় রায়দান করেছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের প্রাক্তন বিচারপতিরা এর প্রশংসা করেছেন।

Supreme Court of India : একদিনে ৪৪ টি মামলায় রায়দান, গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর রেকর্ড সুপ্রিম কোর্টের
ফাইল ছবি
Image Credit source: Twitter

Follow Us

নয়া দিল্লি : একদিনে ৪৪ টি মামলার রায় দিয়ে রেকর্ড গড়ল সুপ্রিম কোর্ট। গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর গতকালই প্রথম কর্মদিবস ছিল আদালতের। আর দীর্ঘ বিরতির প্রথম কর্মদিবসেই ৪৪ টি মামলার রায় দিয়ে নজির গড়ল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সোমবার বিচারপতি এমআর শাহ একাই ২০ টি মামলার রায়দান করেছেন বলে জানা গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে এদিন ফৌজদারি মামলা থেকে শুরু করে জনস্বার্থ, ব্যাঙ্কিং, বাণিজ্যিক বিষয় ও আদালত অবমাননার মতো একাধিক মামলার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ মে থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত গ্রীষ্মের ছুটি চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। দীর্ঘ গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর ১১ জুলাই আদালত খোলে। সোমবার আদালত খুলতেই একের পর এক মামলায় রায়দান করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। দিনের শেষে সেই সংখ্যাটা ৪৪ ছুঁয়ে ফেলে। আইনের কারবারিরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এটাই রেকর্ড। তারা একে নজিরবিহীন বলে আখ্যা দিয়েছেন। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিরা আগেও বারবার দাবি করেছিলেন যে, আদালতের ছুটি থাকলে পড়াশোনার সময় পাওয়া যায়। এর ফলে বিভিন্ন মামলা নিয়ে পড়াশোনা হয়। এর ফলে রায়দানে সুবিধা হয়। এ প্রসঙ্গে ভারতের প্রাক্তন বিচারপতি কেজি বালাকৃষ্ণান বলেছেন, ‘অবকাশে আমরা রায় প্রস্তুত করার সময় পাই। এবং এমন কিছু বিষয়ের উপর পড়াশোনা করা যায় যা আমরা অন্য সময় করতে পারি না। অবকাশের পর যে এতগুলো রায় দেওয়ার জন্য বিচারপতিরা কঠোর পরিশ্রম করেন তার প্রশংসা করা উচিত।’

সুপ্রিম কোর্টের আরও এক প্রাক্তন বিচারপতি ভি গোপাল গৌড়া বলেছেন, ‘বিচারপতিরা ছুটির সময়ে নিজেদের পুনরুজজীবিত করে তোলেন এবং গবেষণার পিছনে সময় ব্যয় করা যায়।’ নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি বলেন, ‘গ্রীষ্মের ছুটির পর আমি আইনের বৈধতা ও সংবিধানে পরস্পরবিরোধী বিধান নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছিলাম। একটি মামলার ক্ষেত্রে প্রমাণ সংবিধানের ৩০ টি ধারায় ছিল।’

Next Article