নয়া দিল্লি : কন্য়া সন্তানরা দায় হতে পারে না। একটি মামলায় এদিন তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও এ এস বোপান্নার তরফে স্ত্রী ও কন্যার ভরণপোষণ সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে এই পর্যবেক্ষণ রাখা হয়। বেঞ্চের এই পর্যবেক্ষণের পিছনে সংবিধানের ১৪ নং ধারার উদাহরণও তুলে ধরা হয়।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত মামলাকারীর তরফে কাউন্সেল জানায় মহিলারা দায়বদ্ধতা। তারপরই বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও এ এস বোপান্নার বেঞ্চ এই তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দেয়। সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারায় দেশের সকল জনগণের জন্য সমতার অধিকারের উল্লেখ করা হয়েছে। সেই ধারা উদ্ধৃত করে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন, ‘কন্যা সন্তানরা দায়বদ্ধতা নয়।’ এদিকে ২০২০ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্টের তরফে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, আবেদনকারীর তরফে উপস্থিত আইনজীবী জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের এপ্রিলের পর কন্য়া সন্তানের জন্য় প্রতি মাসে ৮ হাজার টাকা ও স্ত্রীর জন্য প্রতি মাসে ৪০০ টাকা বাবদ ভরণপোষণের কোনও বকেয়া টাকা দেওয়া হয়নি। তারপর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তরফে স্ত্রী ও মেয়েকে দুই সপ্তাহের মধ্যে আড়াই লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ব্যক্তিকে।
এ বছরের মে মাসেই সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেঞ্চকে জানানো হয় যে গত বছরই স্ত্রী মারা গিয়েছেন। এবার ব্যক্তির তরফে আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন, বকেয়া সব টাকা মিটিয়ে দিয়েছেন ব্যক্তি। এদিন আদালতের তরফে আরও পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে যে, মহিলাদের নিজেদের পরীক্ষায় মনোযোগ দেওয়া উচিত। বাবার উপর নির্ভরশীল না হয়ে স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা দেওয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের তরফে। এদিকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আবেদনকারী বাবা ও মেয়ে বহুদিন একে অপরের সঙ্গে কথা বলেননি শুনে আদালতের তরফে তাদের কথা বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এদিন বেঞ্চ ৮ অগস্টের মধ্য়ে মেয়েকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।