নয়া দিল্লি: অবশেষে জামিন পাচ্ছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় দীর্ঘদিন ধরে জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। আজ শুক্রবার শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পার্থকে জামিন দিতে হবে। তবে এই ক্ষেত্রে কয়েকটি বেনজির শর্ত দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
ইডি ও সিবিআই- দুই সংস্থার মামলাতেই জেল হেফাজতে রয়েছেন পার্থ। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অনেকে ইতিমধ্যেই জামিন পেলেও পার্থর জামিন আটকে গিয়েছে বারবার। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন, তাই ‘প্রভাবশালী’ তকমা থাকায় বারবার আটকানো হয়েছে তাঁকে। পার্থর বান্ধবী বলে পরিচিত তথা আর এক অভিযুক্ত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও জামিন দেওয়া হয়েছে আগেই। সুপ্রিম কোর্টেও ওই জামিনকে হাতিয়ার করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী মুকুল রোহতাগী। অবশেষে বছর শেষে স্বস্তি পেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
ডেডলাইন বেঁধে শর্ত দিল সুপ্রিম কোর্ট
১. শীতকালীন ছুটি শুরু হওয়ার আগে অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে আগে ট্রায়াল কোর্টে চার্জ ফ্রেম করার প্রক্রিয়া শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২. ২০২৫-এর জানুয়ারির দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে সংবেদনশীল প্রত্যক্ষদর্শী, অর্থাৎ যাঁদের প্রভাবিত হওয়ার বা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাঁদের বয়ান রেকর্ডের প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।
৩. তদন্তকারী সংস্থা এবং কোর্টের এই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরই জামিন পাবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জামিন দিতে হবে পার্থকে।
৪. জামিন পাওয়ার পর কোনও সরকারি দফতরের দায়িত্ব নিতে পারবেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অর্থাৎ মন্ত্রী হতে পারবেন না। তবে বিচারে দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিধায়ক হয়ে থাকতে পারবেন তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২২-এর ২৩ জুলাই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন পার্থ। আর চলতি বছরে গত ১ অক্টোবর ২০২৪ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করে পার্থকে।