AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

The Kerala Story: ‘সত্য ঘটনা’ থেকে ‘কাহিনিতে’ রূপান্তিরত হল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’? কী কী শর্ত চাপাল সুপ্রিম কোর্ট

বিতর্কের কেন্দ্রে পড়ে ৩২ হাজার মহিলার ধর্মান্তকরণের দাবি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল টিজার থেকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ জারি করার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট এই ছবিতে সতর্কীকরণ দিতে বলেছে। এই ছবির গল্প যে কাহিনি নির্ভর (ফিকশন), কাল্পনিক তা সিনেমার শুরু উল্লেখ করতে হবে বলে নির্দেশ আদালতের।

The Kerala Story: ‘সত্য ঘটনা’ থেকে ‘কাহিনিতে’ রূপান্তিরত হল  ‘দ্য কেরালা স্টোরি’? কী কী শর্ত চাপাল সুপ্রিম কোর্ট
কেরালা স্টোরির পোস্টার
| Edited By: | Updated on: May 18, 2023 | 6:12 PM
Share

নয়াদিল্লি: টিজার মুক্তির সময় থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। কেরলের হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করে জোর করে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে কী ভাবে যুক্ত করা হয়েছে তা নিয়েই আবর্তিত হয়েছে বাঙালি পরিচালকের তৈরি এই ছবির গল্প। এই ছবির টিজারে দাবি করা হয়েছিল ৩২ হাজার মহিলাকে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে। ধর্মান্তকরণের জেরে নির্যাতিতা মহিলা এবং তাঁদের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে এই ছবি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি নির্মাতাদের। যদিও বিতর্কের কেন্দ্রে পড়ে ৩২ হাজার মহিলার ধর্মান্তকরণের দাবি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল টিজার থেকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ জারি করার পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট এই ছবিতে সতর্কীকরণ দিতে বলেছে। এই ছবির গল্প যে কাহিনি নির্ভর (ফিকশন), কাল্পনিক তা সিনেমার শুরু উল্লেখ করতে হবে বলে নির্দেশ আদালতের। আদালতের এই নির্দেশের পর ‘সত্য ঘটনা’ বদলে গেল ‘কাহিনি নির্ভর’ ছবিতে।

‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল। ছবিতে সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ির অভিযোগও উঠেছে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে। কিন্তু একাংশের অভিযোগ, কেরল নিয়ে ছবি নির্মাতাদের দাবি সত্য নয়। ছবি নির্মাতারা জানিয়েছিলেন ধর্মান্তরিত হওয়া ৩২ হাজার মহিলা ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল। সেই ভিত্তিতেই ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ তৈরি হয়েছে বলে দাবি ছিল নির্মাতাদের। কিন্তু সিনেমায় এ রকম তিনজনকেই দেখা গিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের হয়ে সওয়ালের সময় এ কথা তুলেছিলেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। পশ্চিমবঙ্গে নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশের পাশাপাশি ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবির প্রদর্শনীর শুরুতে ডিসক্লেইমার বা সতর্কীকরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বৃহস্পতিবারের শুনানি ছবি নির্মাতাদের আইনজীবী হরিশ সালভে স্বীকার করে নিয়েছেন, ৩২ হাজার সংখ্যার পিছনে কোনও তথ্য নেই। যদিও শুনানির শুরুতে তিনি দাবি করেছিলেন, নির্যাতিতা এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে তৈরি হয়েছে এই ছবি। সেই ভিডিয়োও তাঁদের কাছে রয়েছে বলে আদালতে দাবি করেছেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, ছবিটি তিনি নিজে দেখবেন এবং এ সংক্রান্ত অভিযোগ শুনবেন। দেশের শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, সিনেমায় ধর্মান্তকরণের ব্যাপারে যে ৩২ হাজার সংখ্যার কথা বলা হয়েছে তা যথাযথ নয়। সে জন্য এই সিনেমা কাল্পনিক সেই মর্মে ছবি শুরুর আগে সতর্কীকরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই সুপ্রিম নির্দেশে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র নির্মাতা যে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেলেন তা বলাই যায়। এর পাশাপাশি সতর্কীকরণে কী লেখা হবে তাও জানাতেন সালভেকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।