Rajiv Gandhi Assassination: রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত ৬ আসামীকেই মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Nov 11, 2022 | 5:20 PM

Rajiv Gandhi Assassination: শুক্রবার (১১ নভেম্বর), রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত ছয়জন আসামীকেই মুক্তির আদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

Rajiv Gandhi Assassination: রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত  ৬ আসামীকেই মুক্তি দিল সুপ্রিম কোর্ট
রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত ছয়জন আসামীকেই মুক্তির আদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট

Follow Us

নয়া দিল্লি: শুক্রবার (১১ নভেম্বর), রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত ছয়জন আসামীকেই মুক্তির আদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি বিভি নাগারত্নের বেঞ্চ বলেছে, “এই আবেদনকারীদের মুক্ত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হল।” এর আগে চলতি বছরের ১৭ মে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল এই মমলার আরেক অভিযুক্ত পেরিভালানকে। এদিন মুক্তি দেওয়া হল নলিনী, শান্তন, মুরুগান, শ্রীহরণ, রবার্ট পায়াস এবং রবিচন্দ্রনকে। এরা প্রত্যেকেই রাজীব গান্ধী ও আরও ২১ জনের হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত। ফলে, রাজীব হত্যা মামলার সকল আসামীই মুক্তি পেয়ে গেলেন।

আদালত জানিয়েছে পেরিভালানকে যে কারণে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল,সেই একই কারণে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বাকি ছয়জনকে। পেরিভালানের ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালত বলেছিল, তাঁর ক্ষমার আবেদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাজ্যপাল অনেক বিলম্ব করেছেন। তাই সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪২-এর আওতায় পাওয়া বিশেষ ক্ষমতার ব্যবহার করেছিল আদালত। অনুচ্ছেদ ১৪২-এ বলা হয়েছে, বিচারাধীন কোনও মামলার ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট তার এক্তিয়ার প্রয়োগ করে প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে পারে। তামিল নাড়ু সরকারের পক্ষ থেকেও তাঁর মুক্তির সুপারিশ করেছিল বলে জানিয়েছিল আদালত।

আদালত আরও জানিয়েছে, আসামীদের প্রত্যেকেরই তিন দশকের বেশি সময় কারাগারে কাটিয়েছেন। সেই সময়ে তাদের আচার-আচরণ ভাল ছিল এবং তারা সকলেই জেলে বসে বিভিন্ন ডিগ্রি অর্জন করেছেন। আসামীদের মধ্যে কয়েকজন বিভিন্ন অসুস্থতাতেও ভুগছেন। সবদিক বিবেচনা করেই তাদের মুক্তি দেওয়া হল।

১৯৯৮ সালে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় এই ৬ আবেদনকারী-সহ মোট ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল টাডা আদালত। এরপর মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে উঠেছিল। বিচারপতি কেটি থমাস শুধুমাত্র পেরিভালান, শ্রীহরণ, শান্তন এবং নলিনী – এই চারজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছিলেন। বাকি সকলকেই বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। ২০০০ সালে তামিল নাড়ু সরকার নলিনীর মৃত্যুদণ্ডের মকুব করেছিল। ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট, পেরিভালান, শ্রীহরণ, শান্তনের সাজা কমিয়ে যবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল।

১৯৯১ সালের ২১ মে তামিল নাড়ুর শ্রীপেরুম্বুদুর-এ এক নির্বাচনীয় প্রচার সভায়, আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী। হামলার পিছনে শ্রীলঙ্কার তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী এলটিটিই-র পাশাপাশি খালিস্তানি জঙ্গিদেরও হাত ছিল।

Next Article