Supreme Court on AMU Minority Status: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সংখ্যালঘু’ তকমার পক্ষেই রায় সুপ্রিম কোর্টের
Aligarh Muslim University: এ দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ১৯৬৭ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায়কে খারিজ করে দেয়। ৪:৩ রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই রায়ে এখনই সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাচ্ছে না আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়।
নয়া দিল্লি: প্রশস্ত হল আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানে’র তকমা পাওয়ার পথ। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ১৯৬৭ সালের সুপ্রিম কোর্টের রায়কে খারিজ করে দেয়। ৪:৩ রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই রায়ে এখনই সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাচ্ছে না আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। এর জন্য তিন বিচারপতির আলাদা একটি বেঞ্চ গঠিত হবে। সেই বেঞ্চই যাবতীয় পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে যে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পাবে কি না।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে ৪:৩ সংখ্য়াগরিষ্ঠতায় রায় দিয়ে ১৯৬৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আজিজ বাসার মামলার রায় খারিজ করে দেওয়া হয়। ১৯৬৭ সালে একটি রায়ে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য ছিল, কোনও প্রতিষ্ঠান স্ট্যাচুটের (statute) এর মাধ্যমে সংখ্যালঘু তকমা পেতে পারে না। এর ভিত্তিতেই ২০০৬ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের বক্তব্য ছিল, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু তকমা ছিল।
এ দিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পাদরিওয়াল, বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্না সুপ্রিম কোর্টের পূর্ব রায় খারিজ করে দেওয়ার সপক্ষে রায় দেন। অন্যদিকে, বিচারপতি সূর্যকান্ত, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি এসসি শর্মা এর বিপক্ষে রায় দেন।
সাংবিধানিক বেঞ্চের মধ্যে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতি মত দেন যে, কোনও আইন বা বিধান (statute) এর মাধ্যমে গঠিত বলে কোন প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু তকমা হারায় না। বিচারপতির বেঞ্চের তরফে বলা হয়, “আজিজ বাসার সিদ্ধান্ত খারিজ করা হচ্ছে। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু তকমা থাকবে কি না, তা বর্তমান মামলার উপরে ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।”
এ দিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন যে আদালতকে দেখতে হবে কে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন? এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ভাবনার নেপথ্যে থকে আছেন? যদি দেখা যায় এই প্রতিষ্ঠান নেপথ্যে সংখ্যালঘু কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ছিলেন, তাহলে ৩০(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সেই প্রতিষ্ঠান সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পেতে পারে।
১৯৬৭ সালের প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান করতেই এবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে এই মামলা পাঠালেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
প্রসঙ্গত, এই মামলার শুনানি পর্বে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা দেওয়ার বিরোধীতা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের মত, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। সেখানে সকলের সমান অধিকার থাকা উচিত। শুধুমাত্র একটি সম্প্রদায়ের জন্য এই প্রতিষ্ঠান হওয়া উচিত নয়।
সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের তকমা পেলে, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্যই সংরক্ষণ থাকবে। ছাত্র, অধ্যাপকের পদে অন্যান্য তপশিলি, অনগ্রসর শ্রেণীর সংরক্ষণ প্রযোজ্য হবে না।