নয়া দিল্লি: দেশের কোনও অংশকে পাকিস্তান বলা যায় না। বিচারককে দায়িত্ব মনে করিয়ে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। একটি মামলার শুনানি চলাকালীন কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি ভি শ্রীসনন্দা বেঙ্গালুরুর একটি জনপদকে ‘পাকিস্তান’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। মহিলা আইনজীবী সম্পর্কেও অবমাননাকর মন্তব্য করেন। সেই মন্তব্যকে ঘিরেই বিতর্ক। তবে কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি ক্ষমা চাওয়ায় আজ শীর্ষ আদালতের তরফে এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া স্থগিত করা হল।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের তরফে বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিচার ও বিচারব্যবস্থার সম্মান রক্ষার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় শীর্ষ আদালতের তরফে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিচারপতির মন্তব্যের ভিত্তিতে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার শুনানিতেই এ দিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “দেশের কোনও ভূখণ্ডকে পাকিস্তান বলা যায় না। এটি দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরোধী। আদালতে কী হচ্ছে, তা ধামাচাপা দেওয়া যায় না।”
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, “চিন্তাভাবনা না করেই মন্তব্য ব্যক্তিগত পক্ষপাতিত্বকেই তুলে ধরে, বিশেষ করে কোনও লিঙ্গ বা সম্প্রদায়ের প্রতি। তাই এই ধরনের বিভাজনমূলক বাঅবমাননাকর মন্তব্য করার বিষয়ে সতর্ত থাকা উচিত। নির্দিষ্ট লিঙ্গ বা সম্প্রদায়ের প্রতি যে পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে, তা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা আশা করি ও বিশ্বাস রাখি যে কোনও পক্ষপাত ছাড়া, সতর্কভাবে দায়িত্ব পালন করবেন স্টেকহোল্ডাররা।”
প্রসঙ্গত, বাড়িওয়ালা বনাম ভাড়াটের মামলায় বেঙ্গালুরুর মুসলিম অধ্যুষিত একটি এলাকাকেই পাকিস্তান বলে উল্লেখ করেছিলেন কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি। তাঁর এই মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়, বিতর্কের ঝড় ওঠে। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে। গত ২০ সেপ্টেম্বর এই মামলার শুনানিতে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের তরফে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, আদালতে বিচারকদের মন্তব্য নিয়ে সুস্পষ্ট গাইডলাইন থাকা দরকার।