Supreme Court of India on Convicts : দীর্ঘমেয়াদী সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের, জামিন নিয়ে কী বলল শীর্ষ আদালত?
Supreme Court of India on Convicts : সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে ১০ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্তদের দ্রুত জামিনের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। তবে জামিনের বিপক্ষে কোনও কারণ থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে আসামীকে জামিন নাও দেওয়া যেতে পারে।
নয়া দিল্লি : জেল বন্দিদের জামিনের বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, যারা ইতিমধ্য়েই ১০ বছর ধরে সাজা ভোগ করছে এবং অদূর ভবিষ্যতে যাদের আবেদনের ভিত্তিতে কোনও শুনানি হবে না তাদের জামিন দেওয়া উচিত। তবে জামিনের বিপক্ষে কোনও কারণ থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে আসামীকে জামিন নাও দেওয়া যেতে পারে।
দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামীদের জামিনের একাধিক আবেদনের ভিত্তিতে এখনও কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। এদিন সেইসব আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সঞ্জয় কিষাণ কউল ও অভয় শ্রীনিবাস ওকার ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি ছিল। এই শুনানিতে বেঞ্চ জানিয়েছে, কোনও আসামী যদি জামিনের জন্য আবেদন করে এবং তার জামিনের বিরোধিতা করে কোনও পক্ষ পাল্টা আবেদন না করলে সেই ব্যক্তিকে জামিন দিতে হবে। এক্ষেত্রে দুটি শর্তও উল্লেখ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আসামীর ১০ বছরের জেল পর্ব শেষ হলে এবং সামনে তার আবেদনের ভিত্তিতে কোনও শুনানি না থাকলে এই জামিনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। সেরকম গুরুতর কোনও অপরাধ না হলেই এই জামিনের বিষয়টি ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্টে এর আগে ৬ টি হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছিল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের চিহ্নিত করার জন্য। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে হলফনামা জমা করা হয়েছে বলে এই শুনানির সময় জানিয়েছেন আদালত বন্ধু গৌরব আগরবাল। এই হাইকোর্টের তথ্য় পর্যালোচনা করে আদালত বন্ধু জানিয়েছেন, সিঙ্গল বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চ মিলিয়ে আসামীদের মোট ৫৭৪০ টি আবেদন জমা পড়েছে। তিনি জানিয়েছেন, বিহারে ২৬৮ জন আসামীদের মেয়াদের আগেই ছেড়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এই একই পথে হাঁটছে ওড়িশা ও এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এলাহাবাদ হাইকোর্টে এরকম আসামীর সংখ্যাটা সর্বোচ্চ। প্রায় ৩৮৫ জন দোষী ১৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাজা ভোগ করছে। তারা ইতিমধ্যেই জামিনের আবেদন করেছে। এসব বিষয় চিন্তাভাবনা করে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এইসব আবেদনের ভিত্তিতে জামিনের বিষয়টি বিবেচনা করা দরকার।