SC on Daughters Right in Properties: ‘বাবার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে মেয়েরাও’, ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের
SC on Daughters Right in Properties: বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের তরফে হিন্দু মহিলা ও বিধবাদের সম্পত্তির অধিকারে একটি মামলায় বলা হয়, "মৃত্যু পথযাত্রী কোনও হিন্দু ব্যক্তির কন্যা সন্তানরাও, তাঁর বাবার স্ব-অর্জিত বা অন্যান্য সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে।"
নয়া দিল্লি: সমাজে মহিলাদের অবস্থান, নারী ক্ষমতায়ন নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সরব হলেও, বাস্তব চিত্রটা একই রয়ে গিয়েছে। সম্পত্তির অধিকারের ক্ষেত্রেও কেবল ছেলেরাই প্রাধান্য পায়, ব্রাত্য রয়ে যায় পরিবারের মেয়েরা। তবে আর নয়, এবার থেকে ইচ্ছাপত্র বা উইল (Will) না থাকলেও বাবার সম্পত্তিতে অধিকার (Inheritance Right of Property) থাকবে মেয়েরও, এমনই ঐতিহাসিক রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের তরফে হিন্দু মহিলা ও বিধবাদের সম্পত্তির অধিকারে একটি মামলায় বলা হয়, “মৃত্যু পথযাত্রী কোনও হিন্দু ব্যক্তির কন্যা সন্তানরাও, তাঁর বাবার স্ব-অর্জিত বা অন্যান্য সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হবে। পরিবারের অন্য়ান্য সদস্যদের তুলনায় কন্যা সন্তানরা অগ্রাধিকারও পাবে।”
মাদ্রাজ হাইকোর্টের একটি মামলার রায়ের বিরুদ্ধেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি আর্জির প্রেক্ষিতেই এই রায় দেওয়া হয়। হিন্দু সম্পত্তির অধিকার আইনে হিন্দু মহিলা ও বিধাবাদের সম্পত্তির অধিকার নিয়েই ওই মামলায় শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, “যদি দেশ ভাগের সময় পাওয়া বা স্ব-অর্জিত কোনও সম্পত্তির মালিক যিনি হিন্দু পুরুষ, তিনি বিনা উইলেই মারা যান, সেক্ষেত্রে তার কন্যাও সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হিসাবে গণ্য হবে।”
বিচারপতি এস আব্দুল নাজির ও বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির বেঞ্চের তরফে আরও জানানো হয়, যদি কোনও হিন্দু ব্য়ক্তির মৃত্যু হয়, তবে সম্পত্তির বাকি উত্তরাধিকারী অর্থাৎ মৃত ব্যক্তির ভাইদের তুলনায় তার কন্যাই সম্পত্তির উপর অগ্রাধিকার পাবে। আইগত কোনও উত্তরাধিকারী না থাকলে, সেক্ষেত্রে মৃত ব্যক্তির কন্য়াকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না, তাকেই উত্তরাধিকারী হিসাবে গণ্য করতে হবে।
৫১ পাতার রায়ে আরও বলা হয়েছে, “কোনও হিন্দু ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার স্ব-অর্জিত বা উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির উপর কন্যা বা বিধবাদের অধিকার কেবল পুরনো হিন্দু আইনেই নয়, বাকি একাধিক মামলার বিচারেও একে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।”
আইনি বিধানের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, এই আইনের একমাত্র লক্ষ্যই ছিল সম্পত্তিতে হিন্দু মহিলাদের যে সীমিত অধিকার ছিল, তার সমাধান করা। গতকাল ওই মামলার শুনানিতে বলা হয়, “সংবিধানের ১৪(১) ধারার অধীনে উইল বা লিখিত ঘোষণাপত্রের অনুপস্থিতিতে মহিলাদের অর্জিত সমস্ত সম্পত্তিকেই পরম সম্পত্তি বলে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে এবং তা হিন্দু আইন ১৯৫৬-র ১৫ ধারার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তৈরি করা।”
যদি কোনও হিন্দু মহিলা নিজের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী স্থির না করে যান, তবে সেক্ষেত্রে পৈত্রিক বা মায়ের থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তি, তার বাবার উত্তরাধিকারীদের কাছে চলে যাবে। স্বামী বা শ্বশুরের থেকে প্রাপ্ত সম্পত্তি, তার স্বামীর উত্তরাধিকারীদের কাছে চলে যাবে।