Supreme Court: ‘দেশের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে’, পথকুকুর মামলায় বাংলা-তেলঙ্গানা বাদে বাকি মুখ্যসচিবদের হাজিরার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
SC on Stray Dogs Case: সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তরফে বলা হয় একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা ও দিল্লি পুরসভা হলফনামা জমা দিয়েছে। বাকি সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের আগামী সোমবার, ৩ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। যদি মুখ্যসচিবরা এই নির্দেশ না মানেন, তাহলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

নয়া দিল্লি: পথ কুকুর নিয়ে মামলায় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের। পথ কুকুর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কাছে পশুদের জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন কতটা কার্যকরী হয়েছে, তা জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গ ও তেলঙ্গানা ছাড়া বাকি কোনও রাজ্যই সেই হলফনামা জমা দেয়নি। আজ শীর্ষ আদালতের তরফে এই দুই রাজ্য বাদে বাকি সকল রাজ্যের তীব্র ভর্ৎসনা করা হয় এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের তলব করা হয়েছে।
পথকুকুরদের দ্বারা শিশুরা কীভাবে আক্রান্ত হচ্ছে, এই নিয়েই একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা চলছিল সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা ও বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চ রাজ্যগুলির অসহযোগিতা এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসরণ না করায় তীব্র ভর্ৎসনা করা হয়। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, “পথকুকুরের আক্রমণ দেশকে বাকি দেশের কাছে খারাপ দৃষ্টিতে দেখাচ্ছে। এই ধরনের ঘটনা ক্রমাগত ঘটছে এবং বিশ্বের চোখে দেশের ভাবমূর্তি এটাই তৈরি হচ্ছে। আমরা নিউজ রিপোর্টেও পড়েছি।”
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তরফে বলা হয় একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা ও দিল্লি পুরসভা হলফনামা জমা দিয়েছে। বাকি সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের আগামী সোমবার, ৩ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। যদি মুখ্যসচিবরা এই নির্দেশ না মানেন, তাহলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
বিচারপতি বিক্রম নাথ ভর্ৎসনা করে বলেন, “সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। আপনাদের অফিসাররা কি নিউজপেপার পড়েন না বা সোশ্যাল মিডিয়া দেখেন না? সবাই এটা নিয়ে রিপোর্ট করেছিল। ওঁরা জেনে থাকলে এগিয়ে আসা উচিত ছিল। সকল মুখ্যসচিবদের ৩ নভেম্বর হাজির হতে হবে।”
এর আগে ১১ অগস্ট বিচারপতি পাদরিওয়ালার বেঞ্চ দিল্লি প্রশাসনকে পথকুকুরদের শেল্টারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। দিল্লির পাশাপাশি নয়ডা, গুরুগ্রাম ও গাজিয়াবাদের পথকুকুরদেরও সরিয়ে নিয়ে যেতে বলা হয়। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শেষে তিন বেঞ্চে এই মামলা স্থানান্তরিত করা হয়।
গত ২২ অগস্ট সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ ১১ অগস্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। টিকাকরণ, নির্বীজকরণের পর র্যাবিস আক্রান্ত ছাড়া বাকি সব কুকুরদের ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে রাস্তায় যত্রতত্র পথকুকুরদের খাওয়ানোও নিষিদ্ধ করা হয়। সেই দিনই সকল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে পশুদের জন্ম নিয়ন্ত্রণ আইন কতটা কার্যকর করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছিল।
