নয়া দিল্লি: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এক পর্যবেক্ষণ ঘিরে তীব্র আপত্তি জানাল সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতিরা ব্যক্তিগত মতামত দেবেন, সেটা কখনোই কাম্য নয়। মন্তব্য শীর্ষ আদালতের। সম্প্রতি, কিশোর-কিশোরীদের যৌন চাহিদা সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকোর্টের এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এই কথা জানাল সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ একটি মামলার পর্যবেক্ষণে কিশোরীদের ‘যৌন চাহিদার উপর নিয়ন্ত্রণ আনার’ পরামর্শ দিয়েছিল। জানিয়েছিল, “দু’মিনিটের সন্তুষ্টি নয়, বরং নিজেদের শারীরিক চাহিদা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে মর্যাদা বাড়বে।” হাইকোর্টের এই মন্তব্য, ‘আপত্তিকর’ বলে জানাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। একইসঙ্গে শীর্ষ আদালত এও বলছে, এই ধরনের মন্তব্য সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদে বর্ণিত কিশোর-কিশোরীদের অধিকারের ‘পরিপন্থী’।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ এস ওকা ও বিচারপতি পঙ্কজ মিথালের বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা গ্রহণ করেছে। শীর্ষ আদালত একইসঙ্গে একইসঙ্গে এও জানাচ্ছে, বিচারপতিদের এই ধরনের ব্যক্তিগত মন্তব্য ও ব্যক্তিগত উপদেশ দেওয়া কখনও কাম্য নয়। উল্লেখ্য, গত অক্টোবর মাসে হাইকোর্ট থেকে এই মন্তব্য উঠে এসেছিল। এরপর গতকাল ৭ ডিসেম্বর শীর্ষ আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি গ্রহণ করে।
হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস ও বিচারপতি পার্থসারথি সেনের ডিভিশন বেঞ্চ কিশোর-কিশোরীদের উদ্দেশে যৌন চাহিদার উপর লাগাম টানার পরামর্শ দিয়েছিল। সেই সময়েই ডিভিশন বেঞ্চ মন্তব্য করেছিল, দু’মিনিটের সন্তুষ্টির বদলে কিশোরীদের নিজেদের যৌন চাহিদার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখার দরকার। সেই মামলায় ডিভিশন বেঞ্চ এও বলেছিল, শুধু কিশোরীরা নয়, কিশোরদেরও উচিত মেয়েদের শরীর ও তাঁদের মর্যাদা, আত্মসম্মানের কথা খেয়াল রাখা।