নয়াদিল্লি: আদানি-হিন্ডেনবার্গ বিতর্কে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে হয়েছে শুনানি। সেই শুনানিতেই ভারতীয় লগ্নিকারীদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিচারপতিরা। ভারতীয় লগ্নিকারীদের রক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এবং সেবি (সিকিউরিটিস এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া) কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার পরামর্শও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। আগামী সোমবার হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সে দিন নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার পরিকাঠামো শক্তিশালী করার ব্যাপারে সেবির মতামতা জানতে চেয়েছেন বিচারপতিরা। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতেই এই বিষয়ে নজর দিচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ শুক্রবার সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে কেন্দ্র এবং সেবির থেকে নোট নিতে বলেছে। সেই ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্ট সোমবার শুনবে দেশের শীর্ষ আদালত। এর পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ বাজারে লগ্নিকারীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনে পরিবর্তনও করতে বলেছে। এ নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের প্রস্তাবও দিয়েছে।
এ বিষয়ে শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, লগ্নিকারীদের রক্ষার বিষয়ে শক্তিশালী প্রক্রিয়া তৈরি করা জরুরি। ক্যাপিটাল মার্কেটে মধ্যবিত্ত মানুষের লগ্নি করার প্রবণতা বাড়ছে। তাঁদের লগ্নি করা অর্থের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা একান্ত প্রয়োজন। এ ব্যাপারে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বলেছে, “কী করে ভারতের লগ্নিকারীদের স্বার্থ আমরা রক্ষা করব, তা নিয়ে ভাবনার প্রয়োজন রয়েছে।” এ নিয়ে সেবির উদ্দেশে আদালত বলেছে, “আমরা কোনও বিশেষজ্ঞ কমিটি কি গড়তে পারি। যে কমিটি বিধিবদ্ধ আইনগুলিকে আরও শক্তিশালী করার ব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারে। বাজারের নিরাপত্তায় নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা যাতে আরও শক্তিশালী করে তোলা যায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দরকার।” কেন্দ্র রাজি হলে এ রকম কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।