নয়া দিল্লি: বিলকিস বানোর ধর্ষকদের মুক্তির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনেকে। অবশেষে আজ সেই আর্জিগুলির শুনানি হতে চলেছে। এরমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের দায়ের করা জনস্বার্থ মামলাও রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমণের বেঞ্চেই এই আর্জিগুলির শুনানি হবে।
মঙ্গলবারই শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য সুভাষিনী আলি, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র সহ মোট তিনজনের দায়ের করা আর্জির শুনানি করা হবে আজ, বৃহস্পতিবার। সুভাষিনী আলির হয়ে আদালতে উপস্থিত থাকবেন কপিল সিবল, মহুয়া মৈত্রর হয়ে মামলা লড়বেন অভিষেক সিংভি।
২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার পরবর্তী সময়ে বিলকিস বানো নামক আট মাসের এক গর্ভবতী মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়। তাঁর চোখের সামনেই আছড়ে মেরে ফেলা হয় তিন বছরের মেয়েকে, খুন করা হয় পরিবারের সাত সদস্যকেও। এই ঘটনাতেই অভিযুক্তদের ২০০৮ সালে যাবজ্জীবন সাজা দেয় মুম্বইয়ের স্পেশাল কোর্ট। পরে বম্বে হাইকোর্টও একই সাজা বহাল রাখে। সম্প্রতিই ১১ জন অভিযুক্তের মধ্যে একজন সুপ্রিম কোর্টে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে আদালতের তরফে রাজ্য সরকারের হাতেই সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপরই গুজরাট সরকার ওই ১১ জন অভিযুক্তকে মুক্তি দেয়। স্বাধীনতা দিবসের দিন মুক্তি পায় অভিযুক্তরা। তাদের গলায় মালা দিয়ে, মিষ্টি খাইয়ে স্বাগত জানানো হয়। এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। গণধর্ষণে অভিযুক্তদের কোন যুক্তিতে মুক্তি দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। অন্যদিকে, নির্যাতিতা বিলকিস বানোও জানান, ধর্ষকদের যে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তা তিনি জানতেন না। গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্ত তাঁর বিচারব্যবস্থার উপরে ভরসাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। তাঁর পরিবার, এমনকী যে বিচারপতি ওই অভিযুক্তদের সাজা দিয়েছিলেন, তিনিও এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন।