নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর ভূমিকা নিয়ে অনেক সময়ই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। কিছুদিন আগে মাদ্রাজ হাইকোর্টের তরফে বলা হয় যাতে সিবিআইকে ‘খাঁচার তোতা’ হিসেবে না রাখা হয়। এবার সেই সংস্থার ভূমিকা ও তদন্তের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। একটি মামলায় কেন এত দীর্ঘ সময়ে লেগে যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এতদিন ধরে সিবিআই কতগুলি মামলার তদন্ত সাফল্যের সঙ্গে শেষ করেছে, সেই তথ্যও চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই সংক্রান্ত নথি জমা দিতে হবে শীর্ষ আদালতে। একটি মামলায় ৫৪২ দিন সময় লেগে গিয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেই মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। আর তা জেনেই ক্ষুব্ধ আদালত।
শুক্রবার এই আবেদনের ভিত্তিতে শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি এসকে কাউল ও এমএম সুন্দরেশের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, ‘তদন্তকারী সংস্থা শুধু মামলা করে তদন্ত করলেই হবে না, সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে যাতে সাফল্যের সঙ্গে তদন্ত শেষহয় ও দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পায়। আগামিদিনে মামলা দ্রুত শেষ করার জন্য কী পদক্ষেপ করছে সিবিআই? তা আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়েছে সিবিআই-এর ডিরেক্টরের কাছে। কতগুলি মামলার তদন্ত চলছে হাইকোর্টে বা নিম্ন আদালতে, মামলাগুলি কত দিন ধরে চলছে, সেই সব তথ্য জানাতে বলা হয়েছে আদালতে।
কতগুলি মামলায় সাফল্যের সঙ্গে তদন্ত শেষ হয়েছে, সেটাই জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, ‘আমরা সিবিআই-এর মামলা সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাই। কতগুলি মামলায় সিবিআই তদন্ত করছে, কত দিন ধরে মামলা চলছে, সিবিআই-এর সাফল্যের হার কত, সেই তথ্য আমরা চাই। আমরা এজেন্সির সাফল্যের হার জানতে চাই।’ এর আগে অন্য একটি মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল যে, দায়িত্বে অবহেলার জন্যই অনেক মামলা শেষ হতে দেরি হচ্ছে।
কী বলছে রাজনৈতিক দলগুলি?
এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘যদি সব মামলা সম্পর্কে রিপোর্ট চাওয়া হয়, তাহলে একটা আলাদা বিভাগ খুলতে হবে সুপ্রিম কোর্টে। সেটা তো সম্ভব নয়। তবে আদালত এই হস্তক্ষেপ করলে সেটা সিবিআই-এর জন্য ভালো হবে। যে কোনও মামলায় সংস্থারও তৎপরতা থাকবে। যাতে সময়ের মধ্যে তদন্ত করা যায়, সেই দায়বদ্ধতাও থাকবে তদন্তকারীদের।’ তাঁর মতে, ভারতের সামগ্রিক পরিস্থিতির জন্য নিরপেক্ষতা থাকা উচিৎ। তাই এই সিদ্ধান্ত জরুরি।
তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, ‘এটা খুব ভালো হল। বিভিন্ন সময় সিবিআই সম্পর্কে বিভিন্ন মন্তব্য করা হয়। তদন্তের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি সিবিআই-এর সাফল্য খুব একটা ভালো নয়। ইদানিং যে ভাবে কেন্দ্র সিবিআই-কে ব্যবহার করছে, তার নজির নেই। মূল্যায়ন যদি শীর্ষ আদালত করে সেটা খুবই ভালো কথা। আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুম আসতেই রেকর্ড ভাঙছে ‘আর-ভ্যালু’, দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকেও ভয়াবহ পরিস্থিতি!