Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sushant Singh Rajput Death Mystery: গলায় নীল দাগ, পায়ের পাতা বেঁকে…সুশান্ত আত্মহত্যা করেছিল নাকি খুন? সাড়ে ৪ বছর পর কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছল CBI?

Sushant Singh Rajput: ২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। নাম জড়ায় তাঁর প্রেমিকা, অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক সরবরাহ, মানসিক হয়রানি, টাকার জন্য চাপ দেওয়া, এমনকী কালাজাদু করার অভিযোগও ওঠে।

Sushant Singh Rajput Death Mystery: গলায় নীল দাগ, পায়ের পাতা বেঁকে...সুশান্ত আত্মহত্যা করেছিল নাকি খুন? সাড়ে ৪ বছর পর কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছল CBI?
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু ঠিক কীভাবে হয়েছিল?Image Credit source: Instagram
Follow Us:
| Updated on: Mar 23, 2025 | 8:07 AM

মুম্বই: করোনাকাল, দেশজুড়ে তখন চলছিল কড়া লকডাউন। এমনই একটা দিন, ১৪ জুন সকালে একটা দুঃসংবাদ এল। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর খবর। নিজের ফ্ল্যাটেই নাকি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত। খবরটা শুনে অধিকাংশ মানুষই বিশ্বাস করতে পারেননি। পরে প্রশ্ন ওঠে, সুশান্ত কি আত্মহত্যা করেছে নাকি তাঁকে খুন করা হয়েছে। দেশজুড়ে শোরগোল। সিবিআই তদন্তের দাবি তুলল সুশান্তের পরিবার থেকে অগুনতি ভক্তরা। শুরু হল তদন্ত। প্রায় সাড়ে চার বছর পর সিবিআই সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তের শেষ রিপোর্ট জমা দিল। কী লেখা আছে তাতে?

২০২০ সালের ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে সুশান্তের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। নাম জড়ায় তাঁর প্রেমিকা, অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক সরবরাহ, মানসিক হয়রানি, টাকার জন্য চাপ দেওয়া, এমনকী কালাজাদু করার অভিযোগও ওঠে। সরাসরি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনে সুশান্তের পরিবার। ২০২০ সালের অগস্টে বিহার পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই। দীর্ঘ চার বছরেরও বেশি সময় সেই মামলার তদন্ত করে সিবিআই। অবশেষে সুশান্তের মৃত্য়ু রহস্যে ক্লোজার রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই।

সূত্রের খবর, সেই রিপোর্টে আত্মহত্যার তত্ত্বকেই সমর্থন করেছে সিবিআই। তারা এমন কোনও প্রমাণ পাননি, যাতে প্রমাণ হয় সুশান্ত সিং রাজপুতকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল। রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে। দুটি এফআইআর থেকেই রিয়া চক্রবর্তী, তাঁর ভাই সৌভিক ও মা-বাবার নাম বাদ দিতে বলা হয়েছে।

অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সে (AIIMS)-র ফরেন্সিক টিমও রিপোর্টে জানিয়েছে, সুশান্তকে খুন করা হয়নি। আত্মহত্যা করেই ৩৪ বছর বয়সী অভিনেতার মৃত্যু হয়েছিল। সুশান্তের ল্য়াপটপ, হার্ড ডিস্ক, ক্য়ামেরা ও দুটি মোবাইল থেকেও কিছু পাওয়া যায়নি ফরেন্সিক পরীক্ষায়।

আগামী ৮ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে। যদি সিবিআইয়ের রিপোর্ট গ্রহণ করে আদালত, তবে খুনের মামলাই খারিজ হয়ে যাবে।

ইতিমধ্যেই সুশান্তের প্রেমিকা রিয়ার বক্তব্যও পাওয়া গিয়েছে। তাঁর আইনজীবী জানিয়েছেন, সিবিআইয়ের কাছে রিয়া কৃতজ্ঞ এই মামলার প্রতিটি দিক তদন্ত করার জন্য। তাঁকে ঘিরে যে মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছিল, তা মানসিক যন্ত্রণাদায়ক ছিল। বিনা দোষে রিয়াকে ২৭ দিন জেলে থাকতে হয়েছিল। প্রতিনিয়ত তাঁকে হেনস্থা করা হত। এটা যেন আর কারোর সঙ্গে না হয়।