কলকাতা: আমাদের দেশের সবথেকে এলিট কমান্ডো হিসাবে ধরা হয় তাঁদের। জঙ্গি, জলদস্যু তো নস্যি, যাঁদের নাম শুনলে কাঁপে বিপক্ষের সেনাও। জল-স্থল-অন্তরীক্ষ, দেশ যেখানেই বিপদে পড়তে সেখানে তাঁদের একবার স্মরণ করলেই হল! তাঁরাই রক্ষা করেন। এটা একটা বাহিনীর অঙ্গীকার। যাঁদের পোশাকি নাম ‘মার্কোস’। বলা হয়, মার্কোস বাহিনী যখন জলে নামে তখন নাকি হাঙর, কুমিরও পালানোর পথ পায় না। দস্যুরা তো কোন ছার! গল্পকথা নয়, এটাই ঘোর বাস্তব। যার প্রমাণ মিলেছিল এ বছরের শুরুতেই। ৪ জানুয়ারি জলদস্যুদের কবলে পড়ে একটি জাহাজ। সোমালিয়ার উপকূলে বাণিজ্য তরীটিকে ঘিরে ধরেছিল জলদস্যুরা।
জাহাজে ছিলেন ১৫ জন ভারতীয় নাবিক। খবর পেয়ে যুদ্ধ জাহাজ পাঠায় ভারতীয় নৌসেনা। অপারেশনে নামেন মার্কোস বাহিনীর জওয়ানরা। সর্পিল গতিতে অপহৃত জাহাজে পৌঁছে যান তাঁরা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করে আনেন পণ বন্দী ভারতীয় নাবিকদের। টিকি খুঁজে পাওয়া যায়নি জলদস্যুদের। মার্কোস বাহিনী আসার খবর পেয়েই পগার পার তারা। জলদস্যুরা তো কোন ছাড়, আচ্ছ আচ্ছা দেশের সেনারাও মার্কোসের নাম শুনেই সিঁটিয়ে যায়।
মার্কোস বাহিনীর ইতিহাস কিন্তু খুব একটা পুরনো নয়। দেশের সবথেকে ভয়ঙ্কর এই বাহিনী তৈরি হয়েছিল ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তখন বাহিনীর নাম ছিল ইন্ডিয়ার মেরিন স্পেশ্যাল ফোর্স। ২ বছর পর নাম বদলে করা হয় মেরিন কমান্ডো ফোর্স। কোড নেম মার্কোস। জলযুদ্ধের ক্ষেত্রে এঁরা সুপার এক্সপার্ট। তবে স্থল এবং আকাশপথেও যে কোনও ধরনের মোকাবিলায় সক্ষম এই বাহিনীর সদস্যেরা। জলপথে শত্রুদেশ বা জলদস্যুর হানা হোক, কিংবা কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নৌকর্তারা ভরসা রাখেন মার্কোসের উপরেই। কঠিন থেকে কঠিনতম অভিযানে ডাক পড়ে এই কমান্ডো বাহিনীর।