Revri Culture: করদাতাদের দুঃখের কারণ হয়েছে ‘রেভরি সংস্কৃতি’: প্রধানমন্ত্রী মোদী

Revri Culture: গড়পড়তা করদাতাদের দুঃখের কারণ হয়েছে "রেভরি সংস্কৃতি" অর্থাৎ, বিনামূল্যে সুবিধাদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রবণতা। সম্প্রতি, মধ্যপ্রদেশে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে বিরোধী দলগুলিকে একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী।

Revri Culture: করদাতাদের দুঃখের কারণ হয়েছে 'রেভরি সংস্কৃতি': প্রধানমন্ত্রী মোদী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 24, 2022 | 5:20 PM

নয়া দিল্লি: গড়পড়তা করদাতাদের দুঃখের কারণ হয়েছে “রেভরি সংস্কৃতি” অর্থাৎ, বিনামূল্যে সুবিধাদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার প্রবণতা। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা-গ্রামীণ প্রকল্পের অধীনে ৪.৫ লক্ষেরও বেশি সুবিধাভোগীকে ঘর বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়েই ‘রেভরি সংস্কৃতি’ নিয়ে বিরোধী দলগুলিতে একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আমি এই চার লক্ষ বাড়ি দিচ্ছি, দেখে দেশের প্রত্যেক করদাতারা নিশ্চয়ই ভাবছেন যে মধ্যপ্রদেশের একজন দরিদ্র ভাইও এই তাদের (করদাতা) মতো দীপাবলি উদযাপন করতে পারবেন। তিনি একটি পাকা বাড়ি পাচ্ছেন, যে কারণে তাঁর মেয়ের জীবনের মান উন্নত হবে। তবে যেটা তাদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয় তা হল, তাদের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ রেভরি বিতরণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক অসন্তুষ্ট করদাতা এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আমায় চিঠি লিখেছেন। তাঁরা দেশকে রেভরি সংস্কৃতি থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছেন।”

ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, তাঁদের দেওয়া করের অর্থ সঠিক উদ্দেশ্যে ব্যয় করা হচ্ছে জানলে করদাতারা খুশি হন। সন্তুষ্ট হন। তাঁরা আরও বেশি বেশি করে কর প্রদানে উৎসাহ পান। প্রধানমন্ত্রী আরও দাবি করেন, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন কেন্দ্র বিনামূল্যের রেশন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৮০ কোটি গরিব মানুষের খাদ্যের বন্দোবস্ত করেছিল। সেই সময় করদাতারা দেশসেবার আনন্দ পেয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী মোদী উত্তরপ্রদেশে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো “রেভরি সংস্কৃতি” শব্দবন্ধটি ব্যবহার করেছিলেন। সেই সময়ই তিনি বলেছিলেন, ভোটের জন্য বিনামূল্যে সুবিধা বিতরণের সংস্কৃতি দেশকে অন্ধকারের দিকে টেনে নিয়ে যাবে। তারপর থেকে রেভরি সংস্কৃতি নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের সমালোচনার করে বিরোধীরা কেন্দ্র এবং বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিভিন্ন “জনপ্রিয়” প্রকল্পের দিকে আঙুল তুলেছিল। পরে, সুপ্রিম কোর্টেও রেভরি সংস্কৃতি বাতিল করার দাবি নিয়ে মামলা হয়। আদালত জনিয়েছিল, জনকল্যাণমূলক প্রকল্প এবং বিনামূল্যের সুবিধা দেওয়ার মধ্যে পার্থক্য খুবই সূক্ষ্ম। তাই এই বিষয়ে তারা কোনও রায় দিতে অপারগ।