হায়দরাবাদ: অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটল তেলেগু দেশম পার্টি বা টিডিপির প্রতিষ্ঠাতা তথা অন্ধ্র প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এনটি রামা রাওয়ের কন্যা উমা মহেশ্বরীর। সোমবার (১ অগস্ট) হায়দরাবাদের জুবিলি হিলস এলাকায় তাঁর বাসভবনেই, ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। হায়দরাবাদের সহকারী পুলিশ কমিশনার এম সুদর্শন বলেছেন, “সোমবার জুবিলি হিলসে তাঁর বাসভবনেই আত্মহত্যা করেছেন উমা মহেশ্বরী। উমা মহেশ্বরী প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং টিডিপি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এনটিআরের ছোট মেয়ে। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। ”
জুবিলি হিলস-এর ওই বাড়িতে তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকতেন উমা মহেশ্বরী। তবে, বর্তমানে তাঁর স্বামী বিদেশে আছেন। হায়দরাবাদ শহরের অন্য এক জায়গায় উমার ছোট মেয়ে থাকেন। সূত্রের খবর, রবিবারই স্বামীকে নিয়ে তিনি মায়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, উমা মহেশ্বরীর বেডরুমের দরজা ভিতর থেকে আটকানো ছিল। তাঁর ছোট মেয়ে, জামাই এবং আরেক মহিলা আত্মীয় অনেকবার টাকার পরও তিনি সাড়া না দেওয়ায়, তাঁরা দরজাটি ভেঙে ফেলেন। দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন উমা মহেশ্বরী।
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তের পর তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলেই মনে করছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ক্রমাগত অসুস্থতা এবং তা থেকে হওয়া চরম বিষণ্ণতাই তাঁর এই চরম পদক্ষেপ নেওয়ার কারণ বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে, এই পর্যবেক্ষণ একেবারেই চূড়ান্ত নয়। উমা মহেশ্বরীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জুবিলি হিলস থানায় ধারার অধীনে ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় একটি আত্মহত্যার মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, টিডিপির প্রতিষ্ঠাতা এনটিআর-এর ১২ জন সন্তানের মধ্যে উমা ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। চার বোনের মধ্যেও তিনিই ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্তী দগ্গুবতী পুরন্দেশ্বরী এবং টিডিপি সভাপতি এন চন্দ্রবাবু নাইডুর স্ত্রী নারা ভুবনেশ্বরী উমার দুই দিদি। উমা মহেশ্বরীর খবর জানাজানি হতেই, চন্দ্রবাবু নাইডু ও তাঁর ছেলে নারা লোকেশ, এনটিআরের ছেলে তথা বিশিষ্ট তেলেগু নায়ক এন বালাকৃষ্ণ এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ঘটনাস্থল ছুটে যান। তবে ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।