জয়পুর: স্বাধীনতার ৭৫টি বছর পার হলেও সমাজের একটি বড় অংশই যে এখনও পিছিয়ে রয়েছে, তার প্রমাণ মিলেছিল সম্প্রতিই। জলের পাত্রে হাত দেওয়ার অপরাধে শিক্ষকের মারে মৃত্যু হয়েছিল রাজস্থানের এক দলিত কিশোরের। সেই ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি, এর মধ্যেই ফের এক দলিত কিশোরের উপরে নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ উঠল। এবারও কাঠগড়ায় শিক্ষক। রাজস্থানেই ফের ঘটল দলিত কিশোরের উপরে অত্যাচারের ঘটনা। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে আহত কিশোর।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি রাজস্থানের বারমেরে হয়েছে। সপ্তম শ্রেণির এক দলিত পড়ুয়াকেই নির্মমভাবে মারধর ও দেওয়ালে সজোরে মাথা ঠুকে দেওয়ার অভিযাগ উঠেছে স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্য়েই অভিযুক্ত শিক্ষক অশোক মালিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আহত কিশোরের ভাই, যে একই ক্লাসে পড়ে, সে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ক্লাসে পরীক্ষা চলছিল। তাঁর ভাই একটি প্রশ্নের উত্তর লেখেনি। এরপরই শিক্ষক ক্লাসের মাঝখানে তাঁকে ডাকে এবং মারধর করে দেওয়ালে মাথা ঠুকে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে ওই কিশোর সংজ্ঞা হারায়। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে কিশোরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
স্কুলেরই এক শিক্ষক জানান, প্রত্যেক ক্লাসে পরীক্ষা চলছিল। সেই সময়ই এক কিশোর দৌড়তে দৌড়তে আসে এবং জানায় যে তাঁর ভাইকে শিক্ষক মারধর করেছে, সাহায্য করার জন্য তাঁর সঙ্গে যেন যাই। তিনি বলেন, “আমি ওই কিশোরকে শিক্ষকের হাত থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি, জল ও খাবার দিই। ওর ভাই একটা ট্যাবলেট এনে ওকে দেয়। আমি ওই ওষুধ সম্পর্কে জানতে চাই এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করারও চেষ্টা করি। কিন্তু তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কিছুক্ষণ পর আহত কিশোর তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ি চলে যায়।”
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, অসুস্থ কিশোরকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন সে পেটে প্রচন্ড ব্যাথার কথা জানায়। বর্তমানে ওই কিশোর স্থিতিশীল রয়েছে, তবে তাঁর মাথায় চোট লেগেছে। পুলিশও ওই ঘটনার খবর পেয়েই অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে এবং প্রাথমিক তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।