Drill Machine in student’s hand: ২-এর নামতা বলতে না পারার শাস্তি, হাতে ড্রিল মেশিন চালালেন শিক্ষিকা!

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 27, 2022 | 7:53 AM

Drill Machine in student's hand: কানপুরের মডেল প্রেম নগর উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে। এই স্কুল রাজ্য সরকারের অধীন।

Drill Machine in students hand: ২-এর নামতা বলতে না পারার শাস্তি, হাতে ড্রিল মেশিন চালালেন শিক্ষিকা!
প্রতীকী ছবি

Follow Us

কানপুর: পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রের হাতে ড্রিল মেশিন চালিয়ে দিলেন এক শিক্ষিকা! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে উত্তর প্রদেশের কানপুরের (Kanpur) এক স্কুলে। অভিযোগ, ক্লাস চলাকালীন ২-এর নামতা বলতে পারেনি ওই ছাত্র। তারপরই তাকে কড়া শাস্তি দেন ওই শিক্ষক। শুধু তাই নয়, পড়ুয়ার পরিবারের অভিযোগ, হাতের ক্ষততে তেমন কোনও চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ। বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় ছাত্রকে। শুরু হয়েছে তদন্ত।

কানপুরের মডেল প্রেম নগর উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে। এই স্কুল রাজ্য সরকারের অধীন। ওই স্কুলের পড়ুয়া ভিভান এই ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, ২ -এর নামতা বলতে না পারার জন্যই এই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। যে ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে অন্যান্য পড়ুয়াদের মধ্যে। ভিভান সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন হাতে একটি ড্রিল মেশিন নিয়ে ক্লাসে এসেছিলেন ওই শিক্ষিকা। সে নামতা ভুলে যাওয়ায় তার হাতেই সেই মেশিন চালিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় কৃষ্ণ নামে এক ছাত্র ওই মেশিনের প্লাগ খুলে বিদ্যৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ততক্ষণে হাতে যথেষ্ট আঘাত লেগেছিল বলেই দাবি ভিভানের।

অভিযুক্ক শিক্ষিকার নাম অলকা ত্রিপাঠী। তিনি স্কুলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবগত করেননি বলেই অভিযোগ। তাঁর চিকিৎসার তেমন কোনও ব্যবস্থা না করেই বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ পরিবারের। স্কুল কর্তৃপক্ষের কেউ নাকি বিষয়টা জানতেনই না। বাড়ি ফেরার পর ভিভানের ওই অবস্থা দেখে ক্ষুব্ধ হন পরিবারের সদস্যরা। পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার তাঁরা স্কুলে গিয়ে যখন ক্ষোভ প্রকাশ করেন, তখনই তাঁরা এ বিষয়ে অবগত হন।

অভিযোগকে কেন্দ্র করে যখন গোটা স্কুল কার্যত উত্তাল হয়, তখন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। স্কুলের দায়িত্বে থাকা সরকারি আধিকারিক সুরজিৎ কুমার সিং স্কুলে গিয়ে পুরো ঘটনার সম্পর্কে খোঁজ নেন। ওই শিক্ষিকাকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।

স্কুলের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, সরকারি স্কিমের আওয়তায় ওই শিক্ষিকা কাজ পেয়েছিলেন। তিনি ভয় দেখানোর জন্যই এই কাজ করেছিলেন বলে দাবি ওই শিক্ষকের। সরকারি স্কিমের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তে একটি টিম গঠন করা হয়েছে।

Next Article