Delhi doctor killing: ২০২৪-এ খুন করে দিলাম, ডাক্তার হত্যার পর কিশোরের গা ছমছমে স্বীকারোক্তি

Oct 04, 2024 | 9:17 AM

Delhi doctor killing: বৃহস্পতিবার রাতে, এইঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ১৬ বছরের কিশোরকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ধৃত কিশোর আরও এক কিশোরের সঙ্গে, বৃহস্পতিবার ভোর ১টা নাগাদ প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তিন শয্রযা নিমা হাসপাতালে এসেছিল। তারপর, ইউনানী চিকিৎসক, ডা. জাভেদ আখতারকে গুলি করে হত্যা করে বলে অভিযোগ।

Delhi doctor killing: ২০২৪-এ খুন করে দিলাম, ডাক্তার হত্যার পর কিশোরের গা ছমছমে স্বীকারোক্তি
যত কাণ্ড দিল্লির নিমা হাসপাতালে
Image Credit source: ANI

Follow Us

নয়া দিল্লি: বৃহস্পতিবার ভোরেই এসেছিল খবরটা। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির কালিন্দি কুঞ্জ এলাকায় এক নার্সিং হোমের ভিতরে ঢুকে এক ডাক্তারকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনায় দুই কিশোর জড়িত বলে জানা গিয়েছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে, এইঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ১৬ বছরের কিশোরকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ধৃত কিশোর আরও এক কিশোরের সঙ্গে, বৃহস্পতিবার ভোর ১টা নাগাদ প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য তিন শয্যার নিমা হাসপাতালে এসেছিল। তারপর, ইউনানি চিকিৎসক, ডা. জাভেদ আখতারকে গুলি করে হত্যা করে বলে অভিযোগ।

দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ রেঞ্জ), এসকে জৈন জানিয়েছেন, ডা. জাভেদ আখতার থাকতেন দিল্লির সাহিনবাগ এলাকায়। অভিযুক্ত দুই কিশোর ওই একই এলাকার বাসিন্দা। এই হত্যা, কোনও আকস্মিক ঘটনা নয়। ওই চিকিৎসককে নিশানা করেই মারা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। ধৃত কিশোরই গুলি চালিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার পর, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সে নিজের একটি ছবিও পোস্ট করেছিল। সঙ্গে ছিল গা ছমছমে এক ক্যাপশন – “কার দিয়া ২০২৪ মে খুন” (২০২৪-এ খুন করে দিলাম)। ওই কিশোরকে হাপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। তবে অপরাধের পিছনে উদ্দেশ্য কী ছিল, সেই সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। অপর অভিযুক্ত কিশোরকে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তবে সূত্রের খবর, এই ঘটনার বিষয়ে নার্সিং হোমের এক মহিলা নার্স এবং তাঁর স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

দিল্লি পুলিশ আরও জানিয়েছে, ড্রেসিং করানোর অছিলায় নিমা হসপিটালে এসে এক কম্পাউন্ডারের সঙ্গে দেখা করেছিল তারা। এক কিশোরের পায়ের আঙুলে ব্যান্ডেজ করে দিয়েছিলেন ওই কম্পাউন্ডার। পরে তারা ইউনানি চিকিৎসকের কেবিনে ঢুকে তাকে গুলি করে। ধৃত নাবালকই ডাক্তারের উপর গুলি চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। নার্সিং হোমের সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়েছে। পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্তের জন্য় ছয়টি দল গঠন করা হয়েছে। নার্সিংহোমের ভিতর ও আশপাশ থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। অপরাধ দমন শাখার দলগুলিও প্রধান অভিযুক্তকে ধরতে সাহায্য করেছে।

আরেক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, নার্সিংহোমের ভিতরে একটি চেয়ারে আখতারকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। তাঁর মাথা থেকে রক্ত ​​ঝরছিল। গত দুই বছর ওই নার্সিংহোমে কাজ করছিলেন তিনি। ঘটনার দিন বুধবার রাত ৮টায় তাঁর ডিউটি ​​শুরু হয়েছিল। নাইট ডিউটিতে থাকা নার্সিং স্টাফ, গজল পারভীন ও মহম্মদ কামিল গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন। কেবিনের ভিতরে গিয়ে ডা. জাভেদ আখতারকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া দেখেছিলেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের মতে, বিনা প্ররোচনায় গুলি চালানো হয়েছিল। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, হত্যার একদিন আগেই সেখানে এসে খোঁজখবরও নিয়েছিল ওই দুই কিশোর।

Next Article