পটনা: পটনা পলিটিকসে এখন চিরাগ পর্ব। কাকা পশুপতি পরসকে নেতা হিসেবে বেছে নিয়েছেন লোক জনশক্তি পার্টির (LJP) ৫ সাংসদ। স্বভাবতই দলে একা হয়ে পড়েছেন রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ পাসোয়ান (Chirag Paswan)। চেষ্টা কাকার সঙ্গে সমঝোতা করতে পারেননি তিনি। তারপরই নিজের জনসমর্থন প্রদর্শন করে আইনি লড়াইয়ে নামার হুঙ্কার ছেড়েছেন চিরাগ। এমতাবস্থায় চিরাগকে পাশে টানতে মরিয়া রাষ্ট্রীয় জনতা দলের চিফ অব কমান্ড তথা বিহারের বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব।
বারবার চিরাগকে বার্তা দিয়েই চলেছেন তেজস্বী। এ বার কার্যত ‘রাম-কার্ড’ ফেললেন লালুপুত্র। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তেজস্বী যাদব জানিয়েছেন, তাঁর দল সবসময় রামবিলাস পাসোয়ানের পাশে দাঁড়িয়েছে। এমনকি ২০০৯ সালে যখন এলজেপির একজনও বিধায়ক ছিল না, তখনও রাজ্যসভার সাংসদ করে রামবিলাসকে দিল্লি পাঠিয়েছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব। তাই আরএসএস মতাদর্শের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখে রামবিলাসের আদর্শ বজায় রাখতে চিরাগকে পাশে চেয়েছেন তেজস্বী।
পাশাপাশি ‘দলিত মসিহা’ রামবিলাস পাসোয়ানের জন্মদিন পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রীয় জনতা দল। তবে চিরাগ বারবার জানিয়েছেন, তিনি রয়েছেন এনডিএ জোটেই। ন্যাশনাল এগজ়িকিউটিভ মিটিংয়ের পরে চিরাগ বলেছিলেন, “হনুমান সুখে-দুঃখে রামের সঙ্গেই ছিল। এখন রামকে দেখতে হবে হনুমান কোথায়।” তারপর এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “ভুলে গেলে হবে না ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর আমরা বিজেপির হাত ধরেছিলাম। নীতীশ যখন জোট ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তখন পাসোয়ান ভোটাররাই ভোট দিয়েছিল।”
কিন্তু এলজেপিতে ভাঙন ধরানোর জন্য নীতীশ কুমারকে দুষছেন চিরাগ। তাহলে একই জোটে থেকে জোট শরিকের মধ্যে এই বিভেদ কতটা ঠেকাতে পারবে বিজেপি? গেরুয়া শিবির আপাতত মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। কারণ, বিহারে ৬ শতাংশ দলিত ভোট চিরাগ পাসোয়ানের সঙ্গেই রয়েছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এখন বিহারের রাজনৈতিক সমীকরণ কোনদিকে ঘুরবে, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: জম্মু বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পর উদ্ধার ক্রুড বোমা, বাড়ছে আতঙ্ক