বেঙ্গালুরু : হিজাব বিতর্কের পাশাপাশি কর্নাটকের বজরং দলের কর্মীর মৃত্যু নিয়ে উত্তাল কর্নাটক। অশান্তি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ১৪৪ ধারাও জারি করা হয়েছে কর্নাটকের শিবামোগ্গা জেলায়। আজ কর্নাটকের বজরং দলের কর্মী হর্ষের মৃত্যুতে ৬ জন গ্রেফতারও হয়েছে। এইবার হর্ষ খুন নিয়ে মন্তব্য করলেন কর্নাটকের বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। তিনি এই খুনের পিছনে ইসলামের মৌলবাদকে দায়ী করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে কেরলের সন্ত্রাস মডেল কর্নাটক এবং দেশের অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে। এর জেরেই এরকম ঘটনা ঘটছে।
বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য় প্রায়সই সংবাদ শিরোনামে দেখা যায় এই বিজেপি সাংসদকে। তিনি বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীদের নিয়ে শিবোমোগ্গায় নিহত বজরং দল কর্মী হর্ষ জিংগারের বাড়ি গিয়েছিলেন। বেঙ্গালুরু দক্ষিণের সাংসদ জানিয়েছেন যে তিনি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই এবং শিবামোগ্গা পুলিশ সুপারকে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC)অধীনে হত্যার মামলা নথিভুক্ত করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তবে এর পাশাপাশি এটিকে সন্ত্রাসের মামলা হিসাবে বিবেচনা করে বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইন (UAPA) এর আওতায় মামলা দায়ের করতে বলেছেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে তিনি বলেছেন, “আমি বিজেওয়াইএম কর্মীদের সঙ্গে হর্ষের বাবা-মাকে দেখতে গিয়েছিলাম। তিনি কর্নাটকে ক্রমবর্ধমান ইসলামিক মৌলবাদের শিকার হয়েছেন। এটি কেরালা সন্ত্রাসের মডেল যা পিএফআই (পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া), এসডিপিআই (সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া) এবং সিএফআই (ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া) এর মতো সংগঠনগুলি কর্নাটক এবং দেশের অন্যান্য অংশে পৌঁছে দিয়েছে।” তিনি আরও বলেছেন, “আমি মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগের অধীনে প্রয়োজনীয় সংস্থানসহ একটি বিশেষ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করার অনুরোধ করছি।”
I, along with BJYM workers, visited Harsha's parents. Growing Islamic fundamentalism in Karnataka has taken him a victim. This is Kerala model of terror that orgs like PFI, SDPI, CFI exported to Karnataka & other parts of the country: BJP MP Tejasvi Surya in Shivamogga, Karnataka pic.twitter.com/kUnPnE8qFc
— ANI (@ANI) February 22, 2022
উল্লেখ্য, বজরং দলের এক সদস্যের খুন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কর্নাটক। রবিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ কর্নাটকের শিবামোগ্গায় ধারাল অস্ত্রের কোপে মৃত্যু হয় বজরং দলের কর্মী ২৬ বছরের হর্ষ নামের যুবকের। এই ঘটনা ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয় ওই এলাকায়। কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য ওই এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বড় কোনও গণ্ডগোলের আশঙ্কায় স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে ওই এলাকায়। তবে বিধিনিষেধ সত্ত্বেও বজরং দলের সমর্থকরা জমায়েত করে মৃতের দেহ বাড়িতে নিয়ে যায়। আজ এই ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্নাটকের পুলিশ।