ধরা পড়লেই এনকাউন্টার! পলাতক ‘ধর্ষককে’ হুমকি খোদ মন্ত্রীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Sep 15, 2021 | 6:32 PM

Hyderabad : আমরা খুব তাড়াতাড়ি ওই ধর্ষক ও খুনিকে গ্রেফতার করে ফেলব। তারপর তার এনকাউন্টার করব। জনরোষ সামলাতে মন্তব্য তেলাঙ্গানার মন্ত্রীর।

ধরা পড়লেই এনকাউন্টার! পলাতক ধর্ষককে হুমকি খোদ মন্ত্রীর
ফের গোলাগুলি ভাটপাড়ায়! প্রতীকী চিত্র

Follow Us

হায়দরাবাদ : মন্ত্রী গত সপ্তাহেই টুইট করে জানিয়েছিলেন অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। কিন্তু আদতে না হয়নি। হায়দরাবাদে বছর ছয়েকে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক। এখনও তাকে ধরে উঠতে পারেনি তেলাঙ্গানা পুলিশ।

এদিকে মন্ত্রীদের বড় বড় কথার শেষ নেই। গত সপ্তাহেই চন্দ্রশেখর রাওয়ের এক মন্ত্রী টুইট করে দিয়েছিলেন, অভিযুক্ত নাকি কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ধরা পড়েছে। কিন্তু সময় এগোতেই বোঝা যায়, মন্ত্রীর কথার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। এদিকে জনরোষ বেড়েই চলেছে। তার মধ্যে আবার এক মন্ত্রী বলে উঠলেন, অভিযুক্তকে দ্রুত ধরা হবে এবং এনকাউন্টার করা হবে।

তেলাঙ্গানার শ্রমমন্ত্রী মল্ল রেড্ডি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, “আমরা খুব তাড়াতাড়ি ওই ধর্ষক ও খুনিকে গ্রেফতার করে ফেলব। তারপর তার এনকাউন্টার করব।”

পুলিশ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের ছবি প্রকাশ্যে এনেছে। যদি কেউ অভিযুক্তের সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে পারে তাহলে সেই ব্যক্তিকে ১০ লাখ টাকা নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

হায়দরাবাদের সিনগারেনির বাড়ি থেকে ৯ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হয়ে যায় বছর ছয়েকের নাবালিকা। পরের দিন প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। নাবালিকার দেহ উদ্ধারের সময় থেকেই পলাতক প্রতিবেশী।

প্রাথমিকভাবে শোনা যায়, অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু পরে যখন বোঝা যায়, বিষয়টি পুরোটাই ভুয়ো, তখন এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। উত্তজনা বাড়তে থাকে এলাকায়। তেলাঙ্গানার মন্ত্রী কে টি রামা রাও নিজের আগের টুইটের জন্য ক্ষমা চান এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার জন্য সাধারণ নাগরিকদের সাহায্য চান।

আর এরই মধ্যে তেলাঙ্গানার অন্য এক মন্ত্রীর এনকাউন্টারের হুমকিতে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে।

উল্লেখ্য এর আগেও ধর্ষণে অভিযুক্তের এনকাউন্টারের খবর এসেছিল হায়দরাবাদ থেকে। দুই বছর আগে ডিসেম্বরে পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের পর হায়দরাবাদ পুলিশ যেমন প্রশংসা কুড়িয়েছে, তেমনই সমালোচনার মুখে পড়েছিল । সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার সজ্জনরের নির্দেশেই এই এনকাউন্টার হয়েছিল বলে সেই সময় জানা যাচ্ছিল । প্রায় ১১ বছর আগে ঠিক একই কায়দায় অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়ারাঙ্গলে এনকাউন্টার করেছিলেন সজ্জনর । মারা গিয়েছিল তিন অভিযুক্ত ৷ সেই সময় পুলিশ সুপার ছিলেন সজ্জনর ।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে  হায়দরাবাদ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, ভোরের দিকে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে চার অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ৷ সেখান থেকে তারা পালানোর চেষ্টা করে । তখনই এনকাউন্টার করা হয়েছিল। এখন মন্ত্রীর মুখে ফের এনকাউন্টারের হুমকি সেই পুরানো স্মৃতিকেই আবার উস্কে দিল।

আরও পড়ুন : National Security Guard:কীভাবে নিয়োগ করা হয় ব্ল্যাক ক্যাট কমান্ডোদের? কত বেতন জানেন

Next Article