বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ, যখন গাড়ি ও যাত্রীদের তল্লাশি চলছিল, সেইসময়ই এক যাত্রীর সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করে পুলিশ। তাঁর তল্লাশি চালাতে গেলেও সে পালানোর চেষ্টা করে। এরপরই সেনাবাহিনীর মদতে পুলিশ ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে। তাঁর কাছ থেকেই একটি হ্যান্ড গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়। মনে করা হচ্ছে, এই গ্রেনেড দিয়েই বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনায় ছিল ওই জঙ্গি।
জম্মু পুলিশের এডিজিপি জানান, ধৃত ব্যক্তির নাম সোহেল আহমেদ ভাট। ডোডা জেলার বাথারি গান্দোহ অঞ্চলের বাসিন্দা তিনি। পরে জেরায় ওই ব্যক্তি স্বীকার করে নেন তিনি লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। শীর্ষনেতাদের নির্দেশেই বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁর। খোবাইব নামক এক পাকিস্তানি মদতদাতা তাঁকে হ্যান্ড গ্রেনেডটি জোগাড় করে দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ধৃত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্তও শুরু করা হয়েছে।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে উপত্যকা। মূলত কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় জঙ্গি হামলার শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পাল্টা জবাবে পুলিশ, সেনাবাহিনীর তরফেও বিভিন্ন জায়গায় এনকাউন্টার অভিযান চালানো হচ্ছে। গতকালও দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে এনকাউন্টার অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। গোপন সূত্রে নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা জানতে পারেন, সোপিয়ানে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে লস্কর জঙ্গিরা। সেই মতো অভিযান চালান জঙ্গিরা। গুলির লড়াই শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে। সংঘর্ষে দুই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিকে নিকেশ করেছে ভারতীয় সেনা। গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন এক সেনা জওয়ান। জখম হয়েছেন আরও দুই জওয়ান।
কাশ্মীর পুলিশের ইনস্পেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার এক টুইটে জানিয়েছেন, আদিল ওয়ানি ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকে উপত্যকায় সক্রিয় ছিল। শেষ দুই সপ্তাহে ১৫ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। কিছুদিন আগেই উত্তর প্রদেশের সাহারানপুরের বাসিন্দা এক কাঠের মিস্ত্রিকে হত্যা করেছিল জঙ্গিরা, তাদের মধ্যে একজনকেও নিকেশ করা হয়েছে।
গত ২৬ অগস্ট পুলিশ ও সেনাবীহিনীর যৌথ অভিযানে হিজবুল মুজাহিদ্দিন গোষ্ঠীর দুই জঙ্গকে গ্রেফতার করা হয় কিশ্তোর জেলা থেকেই। সেই সময়ও তাদের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। পাকিস্তান থেকেই জঙ্গিদের অস্ত্র জোগান দেওয়া হচ্ছে বলে ধারণা।
আরও পড়ুন: Uttarakhand Rain Update: বৃষ্টি কমলেও কাটেনি দুর্যোগের শঙ্কা, ৫০ পার করল দেবভূমিতে মৃতের সংখ্যা