নরবাল: জোড়া বিস্ফোরণ জম্মু (Jammu) এয়ারফোর্স স্টেশনে। রাত ১টা ৪০ মিনিটে একেবারে বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিতে ঢুকে ড্রোন হামলা। বিশেষ কিছু ক্ষয়ক্ষতি না হলেও চিন্তা বাড়িয়েছে এই হামলা। তারপরই গোটা এলাকায় চলছে নজরদারি। জানা গিয়েছে, হামলায় আহত হয়েছেন বায়ুসেনার ২ জন মার্শাল। হামলার পিছনে কে বা কারা দায়ী তা এখনও জানা যায়নি। তবে এ দিনই উপত্যকার নরবাল থেকে ৫ আইইডি-সহ গ্রেফতার হয়েছে এক জঙ্গি। পুলিশ জানিয়েছে, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। কিন্তু গ্রেফতার হওয়া ওই ব্যক্তির সঙ্গে জম্মু বিমানবন্দরে হামলার কোনও যোগসূত্র মেলেনি।
জম্মু বিমানঘাঁটির হেলিকপ্টার হ্যাঙ্গারের কাছেই হয় বিস্ফোরণ। হ্যাঙ্গারে থাকে এম-১৭ কপ্টার, পণ্যবাহী বিমান। ২ বায়ুসেনা কর্মী আকাশ থেকে বোমা পড়তে দেখেছেন বলে সূত্রের খবর। তবে কি বায়ুসেনার হেলিকপ্টারকেই টার্গেট করেছিল হামলাকারীরা। সে প্রশ্ন উঠছে। বিস্ফোরণের পরই ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয় বম্ব ডিসপোজ়াল স্কোয়াড ও এনএসজি।
ইতিমধ্যেই হামলার বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ঘটনার তদন্তভার হাতে তুলে নিয়েছে এনআইএ। তদন্তে রয়েছেন বায়ুসেনার তদন্তকারী আধিকারিকরাও। হামলার পর পূর্বাঞ্চলীয় বায়ুসেনা কমান্ডের অন্তর্গত প্রত্যেক ঘাঁটির আশেপাশে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। ঘাঁটিগুলির সামনে ও ভিতরে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাগুলি কতটা কার্যকর তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেসব জায়গায় অপর্যাপ্ত ক্যামেরা রয়েছে সেখানে বাড়তি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলির প্রত্যেকটি প্রবেশদ্বারে নিরাপত্তা দেড় গুণ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে খবর সূত্রের। নরবাল থেকে ১ জন গ্রেফতার হওয়ার পাশাপাশি জম্মুতে ১ টি মলের সামনে থেকেও ২ জন সন্দেহভাজনকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: জম্মু বিমানবন্দরে হামলা চালাতে বিস্ফোরক আনা হয়েছিল ড্রোনে! তদন্ত শুরু বায়ুসেনার