শ্রীনগর : উপত্যকায় নিকেশ আরও এক জঙ্গি। আজ সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুল্লায় এক নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর এক অভিযানে খতম করা হয় ওই জঙ্গিকে। এই জঙ্গি আজ আরও এক ভিন রাজ্যের দোকানিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিল। বিহারের দুই নিরপরাধ সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছিল এই জঙ্গি। কিন্তু এবার আগে ভাগে জঙ্গিদের পরিকল্পনা জেনে গিয়েছিলেন জওয়ানরা। সেই মতো আগে ভাগে অভিযান চালিয়ে নিকেশ করা হয় তাকে।
বারামুল্লায় এক দোকানিকে হত্যা করার জন্য যাচ্ছিল ওই জঙ্গি। কিন্তু মাঝপথেই তাকে আটকে দেন নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। গুলির লড়াই শুরু হয়। আর তাতেই খতম করা হয় ওই জঙ্গিকে।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, “নিহত ওই জঙ্গি হাইব্রিড টাইপের। তাকে ইতিমধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে। মৃত জঙ্গির নাম জাভেদ আহ ওয়ানি। কুলগাম জেলায় সক্রিয় ছিল ওই জঙ্গি। এর আগে বিহারের দুই শ্রমিককে হত্যা করায় অন্য এক জঙ্গি গুলজারকে সাহায্য় করেছিল ওই জঙ্গি। গুলজারকে ২০ অক্টোবর খতম করেছিলেন নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। আজ সে বারামুল্লায় একজন দোকানদারকে হত্যা করার ছক কষেছিল। ”
মৃত জঙ্গির থেকে একটি পিস্তল, একটি লোডেড ম্য়াগাজ়িন এবং একটি পাকিস্তানে তৈরি গ্রেনেড পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে, গতকালই জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় ভাট্টি-দুরিয়ান জঙ্গলের ভিতর থেকে জঙ্গিদের গোপনঘাঁটির হদিশ পায় নিরাপত্তা বাহিনী। সরকারি আধিকারিকদের সূত্র মতে, সম্প্রতিই যে পাক জঙ্গিকে জম্মুর কোট ভালওয়াল সেন্ট্রাল জেল থেকে মেনধারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, সেই-ই গোপন ঘাঁটির হদিস দিয়েছিল। ওই জঙ্গিকে নিয়েই রবিবার তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী। কিন্তু সেখানে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে।
এনকাউন্টার (Encounter) অভিযানে এক সেনা জওয়ান, দুই পুলিশকর্মী আহত হন। গুলির আঘাতে দেতেনিউ জিয়া মুস্তাফা নামক ওই লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিও আহত হয়। তবে লাগাতার গুলি বর্ষণের কারণে তাঁকে সংঘর্ষস্থল থেকে সেই মুহূর্তে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে ওই জঙ্গির মৃত্যু হয়।
সংঘর্ষের পরেই ফের পুলিশ ও সেনা জওয়ানরা মিলে পুনরায় তল্লাশি অভিযান শুরু করে ওই সংঘর্ষস্থলেই। ভাট্টি দুরিয়ান জঙ্গলের মধ্যেই একটি গোপন ঘাঁটি থেকে এক অ্যাসল্ট রাইফেল (AK Assult Rifle), ২৯ রাউন্ড গুলি সহ একটি ম্যাগাজিন, দুটি গ্রেনেড (Grenade) ও দুটি ডেটোনেটর (Detonator) উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও কিছু কম্বল, শুকনো খাবার, দুটি জুতো, দুটি ইঞ্জেকশন সিরিঞ্জ ও চারটি বিস্কুটের প্যাকেট পাওয়া যায়। এতেই মনে করা হচ্ছে যে, ওখানেই জঙ্গিদের ঘাঁটি ছিল এবং কমপক্ষে দুইজন জঙ্গি সেখানে সম্প্রতিই লুকিয়ে ছিল।
আরও পড়ুন : NIA Raid: উপত্যকায় জঙ্গি হানার মদত ‘নিষিদ্ধ’ জামাত গোষ্ঠীর, টাকার খোঁজে ১৭ জায়গায় তল্লাশি এনআইএ-র