NIA Raid: উপত্যকায় জঙ্গি হানার মদত ‘নিষিদ্ধ’ জামাত গোষ্ঠীর, টাকার খোঁজে ১৭ জায়গায় তল্লাশি এনআইএ-র
Terror Funding Case: এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, জাকাত, মোওদা ও বইত-উল-মাল-র নাম করে জামাত গোষ্ঠী আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করছিল উপত্যকায় নানা উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য এবং সেই টাকাই গোপনে জঙ্গি সংগঠনগুলির কাছে পাঠানো হচ্ছিল উপত্যকায় অশান্তি ছড়ানোর জন্য।
কাশ্মীর: উপত্যকায় জঙ্গি হানায় মদত দিচ্ছে জামাত গোষ্ঠীই (Jamat Organization)। জঙ্গি হামলার (Terror Attack) টাকা কোথা থেকে আসছে, তা জানতে জম্মু-কাশ্মীর(Jammu Kashmir)-র ১৭টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। বুধবার গোটা উপত্যকা জুড়েই সারাদিন এই তল্লাশি অভিযান চলে।
এনআইএ (NIA) সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশ্মীর(Kashmir)-র অনন্তনাগ, কুলগাম, গান্দারবল, বান্দিপোরা জেলা এবং জম্মুর কিশ্তোর সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। মূলত জামাত-ই-ইসলামি (Jamaat-e-Islami) জঙ্গিদের কারা অর্থসাহায্য করছে, তা খুঁজে বের করতেই এই তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
জামাত গোষ্ঠীর একাধিক সদস্যের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে একাধিক গোপন নথি ও বহু বৈদ্যুতিন যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। কোন পথে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলিকে টাকা পাঠানো হত এবং সেই টাকা কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে গত ৮ ও ৯ অগস্টও এনআইএ (NIA) জম্মু-কাশ্মীরের ১০টি জেলা মিলিয়ে ৬১টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায়। ২০১৯ সালেই কেন্দ্রের তরফে জামাত গোষ্ঠীকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়। জানানো হয়, জম্মু-কাশ্মীরের জঙ্গিগোষ্ঠীদের সঙ্গে এদের যোগাযোগ ছিল এবং আগামিদিনে জম্মু-কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ বাড়াতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)-র নেতৃত্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকেই বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (UAPA)-র অধীনে জামাত-ই-ইসলামি গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়। এরপরই শতাধিক জামাত সমর্থকদের গ্রেফতার করা হয়। এনআইএ-র তরফে জানানো হয়েছিল, ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জামাত গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া একটি মামলার প্রেক্ষিতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নেয়।
এনআইএ সূত্রে জানা গিয়েছে, জাকাত, মোওদা ও বইত-উল-মাল-র নাম করে জামাত গোষ্ঠী আর্থিক অনুদান সংগ্রহ করছিল উপত্যকায় নানা উন্নয়নমূলক কাজ করার জন্য এবং সেই টাকাই গোপনে জঙ্গি সংগঠনগুলির কাছে পাঠানো হচ্ছিল উপত্যকায় অশান্তি ছড়ানোর জন্য।
আরও পড়ুন: Agni-V Ballistic Missile: দিল্লি থেকে ছুড়লে পার করবে বেজিং! অগ্নি মিসাইলের উৎক্ষেপণে সাফল্য ভারতের
জামাত গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদ্দিন (Hizbul Mujahiddin), লস্কর-ই-তৈবা (Lashkar-e-Taiba) সহ একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর কাছেও টাকা পাঠাচ্ছিল বলে জানা গিয়েছে। টাকা লেনদেনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছিল জামাত গোষ্ঠীর ক্যাডারদেরই। উপত্য়কায় বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ বাড়ানোর জন্য জামাত-ই-ইসলামি গোষ্ঠী কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করা ও নিজেদের সংগঠনে যোগদান করায় উৎসাহিত করছিল বলেও জানা গিয়েছে। এনআইএ-র তরফে জানানো হয়েছে, এই মামলার তদন্ত জারি রয়েছে।