Bratya on Jadavpur: ‘যাদবপুরকে শাটডাউন করে দিলেন রাজ্য়পাল’, এবার বিক্ষোভকারীদের দিকেই প্রশ্ন ছুড়লেন ব্রাত্য
Bratya on Jadavpur: ব্রাত্য জানান, যাদবপুরের উপাচার্য পদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী তিনজনের প্য়ানেল পাঠিয়ে দিয়েছেন। ৬ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে, মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে। রাজ্যপাল সেই তালিকা গ্রহণ করেননি।

কলকাতা: আচমকা সরানো হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকে। শুক্রবারই সেই চিঠি পৌঁছল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারের কাছে। এবার কার হাতে দায়িত্ব যাবে, তা কারও জানা নেই। কেনই বা ভাস্কর গুপ্তকে অবসরের মাত্র তিন দিন আগে পদ থেকে সরানো হল? সেই প্রশ্নেরও কোনও উত্তর নেই। যাদবপুরকে এভাবে কার্যত শাটডাউন করে দেওয়া হল বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বলেন, “রবীন্দ্রভারতী ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ডেডলক হওয়ার পথে। আর এবার যাদবপুরকেও শাটডাউন করা হল।” একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করার কথাও বলেছেন ব্রাত্য। তিনি বলেন, “উপাচার্যকে অবসরের তিন দিন আগে যেভাবে সরিয়ে দেওয়া হল, যেভাবে তাঁকে অপমান করা হল,সেই বিষয়টি দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করব। সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টা দেখুক।”
রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোসকে কটাক্ষ করে ব্রাত্য বলেন, “বালখিল্যপনা চলছে শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে।” ব্রাত্য জানান, যাদবপুরের উপাচার্য পদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী তিনজনের প্য়ানেল পাঠিয়ে দিয়েছেন। ৬ সপ্তাহ পেরিয়ে গিয়েছে, মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে। রাজ্যপাল সেই তালিকা গ্রহণ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা টেনে আনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রাত্য।
গত ১ মার্চ যাদবপুরে চরম অশান্তি হয়। ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে চলে বিক্ষোভ। এদিন সেই বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ব্রাত্য় বলেন, “যাঁরা সিসিটিভি লাগানো হবে কি না, তা নিয়ে মতামত দেন, তাঁরা এই অচলাবস্থা নিয়ে কী মতামত দেন, তা আমি জানতে চাই।”





