Covaxin: কোভ্যাক্সিনের সবুজ সংকেত ঘিরে গুরুতর অভিযোগ, বিতর্কের মাঝে মুখ খুলল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

Covaxin: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করল, ভারত বায়োটেকের কোভিড টিকা কোভ্যাক্সিনকে সবুজ সংকেত দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অনিময় হয়নি।

Covaxin: কোভ্যাক্সিনের সবুজ সংকেত ঘিরে গুরুতর অভিযোগ, বিতর্কের মাঝে মুখ খুলল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক
ছবি সৌজন্যে : টুইটার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 17, 2022 | 8:15 PM

নয়া দিল্লি: হায়দরাবাদ ভিত্তিক ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা টিকা কোভ্যাক্সিন নিয়ে বিভিন্ন স্তরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন নিয়ে টালবাহানা থেকে টিকা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা, সবই দেখেছে দেশ। এই আবহে এক বিবৃতি প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দাবি করল, ভারত বায়োটেকের কোভিড টিকা কোভ্যাক্সিনকে সবুজ সংকেত দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও অনিময় হয়নি।

প্রসঙ্গত, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। এর জেরে তড়িঘড়ি ভারত বায়োটেকের তৈরি এই টিকাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তবে আজ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে সেই অভিযোগ পুরোপুরি খারিজ করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রের তরফে বলা হয় কোভ্যাক্সিনের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এবং নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করেছিল সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO)।

উল্লেখ্য, গতবছর ১ এবং ২ জানুয়ারি বৈঠকে বসেছিল সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের ‘সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি’। সেই বৈঠকের পরই কোভ্যাক্সিনের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই বিশেষ সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির মধ্যে রয়েছেন পালমোনোলজি, ইমিউনোলজি, মাইক্রোবায়েলজি, ফারমোকোলজি, পেডিয়াট্রিক্স ইন্টারনাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞরা। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেন, ‘২০২১ সালের জানুয়ারিতে জরুরি ব্যবহারের জন্য কোভ্যাক্সিনকে অনুমোদন দেওয়ার আগে সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটি সেই টিকার সুরক্ষা এবং ইমিউনোজেনিসিটি সম্পর্কিত তথ্য পর্যালোচনা করেছিল। ক্লিনিকাল ট্রায়াল মোডে সতর্কতা অবলম্বন করে জনস্বার্থে জরুরি পরিস্থিতিতে এই টিকার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল।’

এদিকে টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল নিয়ে অভিযোগ ওঠে, তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক টিকা প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার ফলাফল আসার আগেই। তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফে এই বিষয়ে বলা হয়, ‘কোভ্যাক্সিনের প্রস্তাবিত ডোজে তৃতীয় ফেজের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করার জন্য সাবজেক্ট এক্সপার্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল বৈজ্ঞানিক তথ্যের উপর ভিত্তি করে।’