নয়া দিল্লি : ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২-২০২৩ আর্থিক বর্ষের জন্য বাজেট পেশ করতে চলেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই বাজেটে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল নিয়ে কিছু ঘোষণা করেন কিনা তার দিকে তাকিয়ে বহু মানুষ। তবে অতি প্রতীক্ষিত এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলটি আসন্ন কেন্দ্রীয় বাজেট অধিবেশনে উপস্থাপন করার সম্ভাবনা কম। সংসদে শীতকালীন অধিবেশনে এই বিল উপস্থাপিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, পরবর্তীকালে তা উপস্থাপন করা হয়নি। সূত্রের খবর, এখনই এই বিল পেশ করার প্রস্তুতি নেই কেন্দ্রের।
ভারতে ইদানিং ক্রিপ্টোকারেন্সির রমরমা দেখা যাচ্ছে। তাই কেন্দ্রের তরফে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল আনার কথা ছিল। সূত্রের খবর, ক্রিপ্টোকারেন্সি বিলের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও সিনিয়র ট্য়াক্স অ্যাডভাইজারের কাছে পরামর্শ চেয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিলের পরিকাঠামো তৈরির আগে তাদের কাছে জানতে চেয়েছে, কীভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করা যেতে পারে, ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়, এবং ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনের ক্ষেত্রে সরকারের রাজস্ব বাড়তে পারে। এর থেকে পরিষ্কার ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে আয়ের লক্ষ্যে সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজারে বিভিন্ন ধরনের কর ধার্য করতে পারে। একটি রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ক্রিপ্টোকারেন্সির উপর আয়কর ধার্য করা হলে তার পরিমাণ হতে পারে প্রায় ৩৫-৪২ শতাংশ। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এই বিল উপস্থাপনের কথা থাকলেও তা হয়নি। তাই এই বাজেট অধিবেশনে বিল উপস্থাপনের জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু সূত্রের খবর, সেই সম্ভাবনা কম।
কেন্দ্রীয় সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল নিয়ে আসলে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ভারতে নতুন অ্যাসেট হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এই বিলের বিষয়ে চূড়ান্ত পরিকাঠামো নিয়ে সিদ্ধান্ত বিধানসভা নির্বাচনের পরেই আসতে পারে।
কী এই ক্রিপ্টোকারেন্সি?
ক্রিপ্টোকারেন্সি হল এক ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি। এই কারেন্সি সরকারের তরফে উৎপাদন করা হয় না। এই কারেন্সি শুধুমাত্র ভার্চুয়াল দুনিয়াতেই ব্যবহারযোগ্য। ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনলাইনে শপিং করা হয়ে থাকে। প্রথম ক্রিপ্টোকারেন্সি ছিল বিটকয়েন। এটি ২০০৯ সালে চালু হয়। এটি সর্বাধিক পরিচিত বিটকয়েন।
আরও পড়ুন : Budget 2022 : ভোটবাক্সের ‘লক্ষী’ কৃষক, অন্নদাতাদের অন্ন যোগাতে কোন পদক্ষেপ করবে কেন্দ্র?