নয়া দিল্লি : জাহাঙ্গিরপুরীর উচ্ছেদ অভিযানের আঁচ ধীরে ধীরে রাজনীতিতে পড়তে শুরু করেছে। বুধবার সুপ্রিম নির্দেশের পরও উচ্ছেদ অভিযান চলায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। দেশ জুড়ে বিরোধীরা বিজেপিকে দোষারোপ করে সরব হয়েছেন। এরই মধ্যে শুক্রবার জাহাঙ্গিরপুরী যাচ্ছে তৃণমল কংগ্রেসের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। দলের সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নির্দেশ মেনেই তাঁরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন। সেখানে গিয়ে জাহাঙ্গিরপুরীর মানুষজনের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা।
বুধবারের জাহাঙ্গিরপুরীর উচ্ছেদ অভিযানকে ইস্যু করে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তাঁদের নিশানায় বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কড়া ভাষায় তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধী, আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। এই ঘটনার পরই প্রধানমন্ত্রীকে ‘ঘৃণার বুলডোজ়ার’ বন্ধের আর্জি জানিয়েছেন রাহুল গান্ধী। এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি আবার অভিযোগ করেছেন যে বেছে বেছে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন এই এআইএমআইএম নেতা।
উল্লেখ্য, শনিবার হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় হিংসার ঘটনায় এমনিতেই উত্তপ্ত ছিল দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী। এর উপর বুধবার সকালে বিজেপি পরিচালিত নর্থ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে এই উত্তেজনাপূর্ণ এলাকায় ‘অবৈধ নির্মাণ’ উচ্ছেদের অভিযান শুরু হয়। তার জন্য ঘটনাস্থলে নয়টি বুলডোজ়ার পাঠানো হয়। এলাকার পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনীও। প্রায় ২০ টি দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছে জানা গিয়েছে। তারপর এই উচ্ছেদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট এই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেয় এবং পরবর্তী শুনানি আগামিকাল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে হবে বলেও জানানো হয়। সুপ্রিম নির্দেশের পরও অভিযান চলে বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। অবশেষে এই অভিযান স্থগিত করে মিউনিসিপ্যালিটির কর্তৃপক্ষরা।
আরও পড়ুন : Jahangirpuri Demolition : ‘হিংসার বীজ বপণ করছে…’ রাহুলের বুলডোজ়ার মন্তব্যে পাল্টা তোপ অনুরাগের