AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SC On DA Case: ‘রাজ্য সরকার মহাজনের মতো টাকা জমিয়ে অন্য জায়গায় খাটাচ্ছে’, DA মামলায় শীর্ষ আদালতে কড়া ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য সরকার

SC On DA Case: মঙ্গলবার থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার দীর্ঘ শুনানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। বুধবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সওয়াল করার দিন। মঙ্গলবার শুনানির শুরু থেকেই ডিএ আদৌ সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার কিনা, তা নিয়ে সওয়াল-জবাব শুরু হয়।

SC On DA Case: 'রাজ্য সরকার মহাজনের মতো টাকা জমিয়ে অন্য জায়গায় খাটাচ্ছে', DA মামলায় শীর্ষ আদালতে কড়া ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য সরকার
সুপ্রিম কোর্টে DA মামলা Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 06, 2025 | 1:31 PM
Share

নয়া দিল্লি:  ডিএ মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে তিরস্কারের মুখে রাজ্য। বুধবারের শুনানির শুরুতেই রাজ্য সরকারের তরফে DA না দেওয়া নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ  বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রর বেঞ্চের। আদালতের পর্যবেক্ষণ, আগেকার দিনের মহাজনদের মতো আচরণ করছে রাজ্য সরকার। টাকা জমিয়ে রাখা হচ্ছে অন্য জায়গায় খাটাচ্ছে।

বুধবার শুনানির শুরুতে রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনের তরফে আইনজীবী সওয়াল শুরু করেন। ২০০৬-২০০৮ সাল এবং ২০১৯-২০২১ সাল পর্যন্ত ডিএ না দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই এই গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ বিচারপতির।

মঙ্গলবার থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার দীর্ঘ শুনানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে রাজ্য সরকারের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। বুধবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সওয়াল করার দিন। মঙ্গলবার শুনানির শুরু থেকেই ডিএ আদৌ সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার কিনা, তা নিয়ে সওয়াল-জবাব শুরু হয়।

রাজ্যের যুক্তি ছিল, কর্মচারীদের ডিএ মৌলিক অধিকারের আইনি স্বীকৃতি নেই। মঙ্গলবারই তাৎপর্যপূর্ণভাবে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলকে বিচারপতি সঞ্জয় করোল বলেন, “আপনারা যে কোনও পরিমাণ DA দিতে পারেন। কিন্তু প্লিজ দিন। আপনার ক্লায়েন্টকে (রাজ্য সরকার) বলুন।”

রাজ্য সরকারের বক্তব্য ছিল,  “রাজ‍্য কোথা থেকে টাকা দেবে? রাজ‍্যকে ধার করতে হবে। রাজ‍্যকে তার জন‍্য রিজার্ভ ব‍্যাঙ্কের কাছে যেতে হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আমাদের ঋণ পাওয়ার ক্ষমতা দেখে আমাদের ঋণ দেবে। তারপর আমাদের বিধানসভায় অ‍্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল আনতে হবে। তারপর টাকা দেওয়া হবে। এই পুরো প্রক্রিয়া যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ।”

সরকারি কর্মচারীদের আইনজীবী বুধবার শুনানির শুরুতেই আদালতে জানান, ২০০৬-২০০৮ সাল ও ২০১৯-২০২১ সাল রাজ্য সরকার এই সময়ের মধ্যে কোনও ডিএ দেয়নি। এই কথা শোনা মাত্রই বিচারপতি সঞ্জয় করোল তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলেন, “আগেকার দিনের মহাজনদের মতো রাজ্য সরকার আচরণ করছে। টাকা জমিয়ে রেখে অন্য জায়গায় টাকা খাটানো হচ্ছে।”