নয়া দিল্লি: কাঁথি পুরসভা নির্বাচনের সিসিটিভি ফুটেজ ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোয় হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিনের শুনানিতে শীর্ষ আদালত প্রশ্ন করে, নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর জনস্বার্থ মামলা কেন? নিয়ম মেনে নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানানো হয়নি কেন? হাইকোর্টের নির্দেশ আদৌ কি যথোপযুক্ত? সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। কাঁথি পৌরসভা নির্বাচন মামলায় হাইকোর্টের মামলায় সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শীর্ষ আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করে রাজ্য় নির্বাচন কমিশন।
এর আগে কলাকাত হাইকোর্ট জানিয়েছিল, “বৃহত্তর জনস্বার্থে এবং গণতান্ত্রিক নীতিগুলি রক্ষা করার জন্য, কাঁথি পৌর নির্বাচনের সিসিটিভি ফুটেজের ফরেন্সিক অডিট করা প্রয়োজন।” কিন্তু সোমবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষের আইনজীবী আদালতে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চকে জানিয়েছেন, সিএফএসএলকে দিয়ে ফরেনসিক পরীক্ষার করানোর যে নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চ এর আগে দিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে একটি এসএলপি দায়ের করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই কারণেই কলকাতা হাইকোর্টকে মামলাটির শুনানি মুলতবি রাখার জন্য আবেদন করেছিলেন কমিশনের আইনজীবী। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী আদালতকে মৌখিকভাবে জানান, “স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করা হয়েছে এবং ডায়েরি নম্বরও পাওয়া গিয়েছে।”
কাঁথি পৌরসভা নির্বাচনে বিস্তর কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারী। সেই অভিযোগ নিয়েই একটি জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল। মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, পুরভোটে অশান্তি নিয়ে যে সব অভিযোগ উঠেছে, তার সত্যতা খতিয়ে দেখতে সিসিটিভির ফরেন্সিক পরীক্ষা দরকার।