Dharma and Religion: ‘ধর্ম’ আর ‘রিলিজিয়ন’ এক নয়? কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব হাইকোর্টের

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Nov 08, 2023 | 2:01 PM

Delhi High Court: বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা ও বিচারপতি তুষার রাও গেদালার ডিভিশন বেঞ্চে চলছে সেই মামলার শুনানি। এই ইস্যুতে জবাব চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। তার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মাকে।

Dharma and Religion: ধর্ম আর রিলিজিয়ন এক নয়? কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব হাইকোর্টের
প্রতীকী ছবি

Follow Us

নয়া দিল্লি: অভিধান অনুসারে ইংরেজি শব্দ Religion (রিলিজিয়ন)-এর অর্থ হল ধর্ম। বাংলা ও হিন্দিতে ধর্ম শব্দটি সেই অর্থেই ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আদতে রিলিজিয়ন আর ধর্ম শব্দের অর্থে কি একই? এই প্রশ্নই তুলেই একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। সেই সঙ্গে আর্জি জানানো হয়েছে, যাতে প্রাথমিক বা মাধ্যমিক স্তরে এই বিষয়টাকে পাঠ্যবইতে রাখা হয়। ধর্মীয় ভেদাভেদ বা হিংসা নিয়ন্ত্রণ করতে এই শিক্ষায় শিক্ষিত করা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেই আবেদনে।

বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মা ও বিচারপতি তুষার রাও গেদালার ডিভিশন বেঞ্চে চলছে সেই মামলার শুনানি। এই ইস্যুতে জবাব চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। তার জন্য সময় দেওয়া হয়েছে অ্যাসিস্ট্যান্ট সলিসিটর জেনারেল চেতন শর্মাকে। ২০২৪-এর ১৬ জানুয়ারি এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় এই জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন দিল্লি হাইকোর্টে। অশ্বিনী কুমারের দাবি, ধর্ম আর রিলিজিয়ন সমার্থক শব্দ নয়। রিলিজিয়ন-এর অর্থ পন্থা বা সম্প্রদায় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। তাই আধার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, জন্ম বা মৃত্যুর শংসাপত্রে যাতে ধর্ম ও রিলিজিয়ন সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করা না হয়, সেই দাবিও জানিয়েছেন আইনজীবী।

তাঁর মতে ধর্ম হল কোনও ব্যক্তির নিজস্ব বিশ্বাস, প্রার্থনার রীতি। আবেদনে তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, প্রত্যেক ব্যক্তি জানেন কোথায় গিয়ে থামতে হয়। সেই সহিষ্ণুতা হল ধর্ম-এর সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য। কিন্তু রিলিজিয়ন বলতে যা বোঝানো হয়, তাতে এই সহিষ্ণুতা থাকে না।

তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, বিভিন্ন সময়ে, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন ভাষার মানুষ সন্ত হিসেবে উঠে এসেছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই মানুষকে শিখিয়েছেন নিজের নিজের ধর্মীয় জীবন বেছে নিয়ে এগিয়ে যেতে। সন্তরা কখনও কাউকে কোনও পথ বেছে নিতে বাধ্য করেননি। তাঁর মতে, ভারতে খ্রিস্টান ও মুসলিমরা আসার পরই ধর্মান্তকরণের ধারণা সামনে আসে।

Next Article