প্রয়াগরাজ: খুনের (Atiq Ahmed Murder) ৪৮ ঘণ্টা আগে থাকতে শুরু করেছিল প্রয়াগরাজে। সেখান থেকে চলছিল রেকির কাজ। তারপর সাংবাদিক সেজে সাংবাদিকদের ভিড়ে মিশে হামলা চালায় আতিক-আশরাফের উপর। এক ঝাঁক পুলিশের সামনে একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ গুলি করে হত্যা করা হয় দুজনকে। শনিবার রাতে উত্তর প্রদেশে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। এ ঘটনার পরেই গ্রেফতার করা হয়েছে তিন আততায়ীকে। তবে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানা যাচ্ছে তিনজনের কারোরই পরিবারের সদস্যদের কোনও যোগাযোগ ছিল না সাম্প্রতিককালে।
এমনকী এত বড় ঘটনা যে ঘটতে চলেছে তা বিন্দুমাত্র টের পাননি পরিবারের সদস্যরা। ধৃত সানির ভাই বলেন, “আমরা তিন ভাই। সানি তো অনেকদিন থেকে ও বাড়িতে থাকে না। আগে বাড়িতে থাকতেও এদিক ওদিক ঘুরে বেড়াত। কাজ করত না কিছু।” ধৃত অরুণের কাকিমা বলেন, “আমরা জানি না ও কী করত, কোথায় থাকত। আমাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে যোগাযোগ নেই।” ধৃত লাভলিশের বাবা সাফ জানাচ্ছেন দীর্ঘদিন থেকে ছেলের সঙ্গে বিন্দুমাত্রও যোগাযোগ নেই তাঁর। তিনি বলেন, “আমরা এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। এর সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই। ও বাড়িতেও থাকত না। কবে থেকে প্রয়াগরাজে থাকছে তাও জানি না।”
এ ঘটনার পরেই রাতারাতি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তারপরই গোটা রাজ্যব্যাপী ১৪৪ ধারা জারি করার সিদ্ধান্ত হয়। এখনও গোটা রাজ্যে রয়েছে চাপা উত্তেজনা। শনিবার রাতে মেডিক্যাল টেস্ট করানোর জন্য প্রয়াগরাজের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফকে। প্রিজন ভ্যান থেকে নামতেই, হাসপাতালের সামনে আতিক ও তাঁর ভাই আশরফকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। তাঁদের ভিড়েই মিশে ছিল তিন দুষ্কৃতী। পুলিশি এনকাউন্টারে ছেলে আসাদের মৃত্যু ও তাঁর শেষকৃত্যে যেতে না পারা নিয়েই আতিকদের নানা প্রশ্ন করছিলেন সাংবাদিকরা। তখনই দেখা যায় হঠাৎ এক ব্যক্তি হাত উঁচিয়ে এসে আতিকের মাথায় বন্দুক ঠেকান এবং ট্রিগারে চাপ দেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ঘটনার আগে ৪৮ ঘণ্টা প্রয়াগরাজের হোটেলে ছিল ধৃতরা। সেখানেও নতুন সূত্রের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।