প্রয়াগরাজ: পরিকল্পনা হয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। হোটেলে রুমও বুক হয়েছিল প্রয়াগরাজে। সেখানেই ছিল প্রায় দু’দিন। সেখান থেকেই হয় রেকির কাজ। তারপর সংবাদমাধ্যমের ভুয়ো বুম, নকল ক্যামেরা নিয়ে সাংবাদিকের বেশ ধরেই চলে ‘অপারেশন’। আসাদ আহমেদের শেষকৃত্যের দিনেই খুন হয়ে গিয়েছেন তাঁর বাবা গ্যাংস্টার আতিক আহমেদও (Atiq Ahmed Murder)। শনিবার রাতে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে মেডিক্যাল টেস্ট করানোর জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ ও তাঁর ভাই আশরফকে। সেখানেই পুলিশের সামনেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় দুজনকে। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় তিনজনকে। সাংবাদিক সেজেই তাঁরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
এই ঘটনার পর থেকেই তোলপাড় উত্তরপ্রদেশের রাজ্য-রাজনীতি। প্রায় সমস্ত জেলাতে জারি ১৪৪ ধারা। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রয়াগরাজ থেকেই গোটা কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। দফায় দফায় হয়েছিল রেকির কাজ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রয়াগরাজে যে হোটেলে আততায়ীরা গা ঢাকা দিয়েছিল সেখানেই এখনও তাঁদের সহযোগীরা থাকতে পারেন। তাই জোরকদমে ওই এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই হোটেলের কর্মচারিদের। সূত্রের খবর, আততায়ীদের মধ্যে একজনের কাছে একটি রহস্যজনক ব্যাগ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ওই ব্যাগে কী ছিল, খুনের পর সেগুলি কোথায় গেল, তা নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। এদিকে এ ঘটনার পরেই রাতারাতি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তারপরই গোটা রাজ্যব্যাপী ১৪৪ ধারা জারি করার সিদ্ধান্ত হয়।