নয়া দিল্লি: লোকসভা ভোটের আগেই যে চালু হবে সে কথা বারবার বলতে শোনা গিয়েছিল বিজেপি নেতাদের। অবশেষে দীর্ঘ টালবাহানার পর ১১ মার্চ বিজ্ঞপ্তি জারি করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) চালু করে দিয়েছে মোদী সরকার। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চাপানউতোর চলছে। এরইমধ্যে এবার CAA সম্পর্কে ভারতীয় মুসলিমদের ভয় দূর করতে বিবৃতি জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে নরেন্দ্র মোদী দ্বিতীয়বার দিল্লির মসনদে বসতেই সিএএ পাশ হয়ে যায়। আইন বলছে, ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে সে দেশের যে সমস্ত ধর্মীয় সংখ্য়ালঘুরা (হিন্দু,বৌদ্ধ,জৈন, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান) ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। কিন্তু, কী হবে মুসলিমদের? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলছে, নাগরিকত্ব আইনের ছয় নম্বর ধারা অনুযায়ী বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের মুসলিমরাও ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন।
এমনকি এই তিনটি দেশের মুসলিম নাগরিকরাও ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হলে আইন মোতাবেক আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে পারেন। এই তিনটি দেশে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের প্রতি ভারতীয় সংস্কৃতি মেনে সহানুভূতি এবং দায়বদ্ধতা দেখাতেই এই আইন আনা হয়েছে। স্পষ্ট বলা হচ্ছে, দেশের ১৮ কোটি মুসলিম নাগরিকদের উপর এই আইনের কোনও প্রভাব পড়বে না। এই আইন মোতাবেক কোনও নাগরিককে কোন ডকুমেন্টস দেখাতে বলা হবে না।
কিন্তু, বেআইনিভাবে ভারতে বসবাসকারী মুসলিমদের তাঁদের আগের দেশে ফেরত পাঠানো হবে? উত্তরে বলা হচ্ছে, পাকিস্তান, বাংলাদেশ বা আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের কোনও নাগরিক প্রত্যর্পণের চুক্তি নেই। এই আইন মুসলিম বিরোধী এই ধারণা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এই আইনে কোনও ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণের সংস্থান নেই।