নয়া দিল্লি: দেশের বৃহত্তম নিউজ নেটওয়ার্ক টিভি-৯ আবারও তার বার্ষিক ইভেন্ট ‘হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে গ্লোবাল সামিট’ নিয়ে হাজির। বসতে চলেছে চাঁদের হাট। হোয়াট ইন্ডিয়া থিঙ্কস টুডে-এর মতো প্ল্যাটফর্মে পা রাখতে চলেছেন দেশ তথা বিশ্বের তাবড় তাবড় চিন্তাবিদ। শুধুমাত্র রাজনীতি নয়, সিনেমা, খেলাধুলা এবং অর্থনীতি সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাঁদের মতামত প্রকাশ করবেন। নতুন ভারতের নতুন শিরোপা, নতুন উত্থান, বিশ্বজোড়া খ্যাতি নিয়েও আলোকপাত করবেন এই সব খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বরা। ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা এই গ্লোবাল সামিটে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অংশ নিচ্ছেন অমিত শাহ, মল্লিকার্জুন খাড়গে, অরবিন্দ কেজরীবালের মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিকরাও। ২৬ ফেব্রুয়ারি গ্লোবাল সামিটের দ্বিতীয় সংস্করণের দ্বিতীয় দিনে অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তিত্বই বিশ্বের দরবারে ভারতের ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব নিয়ে কথা বলবেন। দীর্ঘ আলোচনার কথা রয়েছে দ্য বেটিং অন ইন্ডিয়া: ম্যাক্রো ভিউ সেশনে। এই সেশনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভারত স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মুকেশ আঘি, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ডঃ সঞ্জীব সান্যাল থাকছেন। এই সেশনে অংশ নেবেন অস্ট্রেলিয়া-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিলের ডিরেক্টর জোডি ম্যাকে।
কে এই মুকেশ আঘি?
ডঃ মুকেশ আঘি ভারত ও আমেরিকার একজন সুপরিচিত ভারতীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি ইউএস-ইন্ডিয়া স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরামের চেয়ারম্যান এবং সিইও পদেও বহাল রয়েছেন। একইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক এবং সরকারি সম্পর্ক আরও জোরদার করতে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছেন। এর আগে তিনি IBM, Ariba এর মতো অনেক বড় কোম্পানিতে কাজ করেছেন। L&T ইনফোটেকেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কর্মজীবনে রয়েছেন ৩০ বছরের বেশি সময়। মুকেশ আঘি ক্লারমন্ট গ্র্যাজুয়েট ইউনিভার্সিটি থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে পিএইচডিও করেছেন। এছাড়াও তিনি হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে আন্তর্জাতিক বিপণনে অ্যাডভান্সড ম্যানেজমেন্ট ডিপ্লোমা এবং এমবিএ ডিগ্রি পেয়েটেন। শুধুই যে পড়াশোনা ও কর্মজীবনে তাঁর সুখ্যাতি রয়েছে এমনটা নয়, ম্যারাথন দৌড়ের পাশাপাশি পর্বতারোহণেরও বিশেষ আগ্রহ রয়েছে তাঁর। অংশও নিয়েছেন একাধিকবার।
কে এই সঞ্জীব সান্যাল?
অধিবেশনে অংশগ্রহণ করছেন ডঃ সঞ্জীব সান্যাল। যিনি আবার প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। একজন অর্থনীতিবিদ ছাড়াও লেখক ও পরিবেশবিদ হিসাবে পরিচিতি রয়েছে তাঁর। এর আগে তিনি ভারত সরকারের প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টাও ছিলেন। তিনি ডয়েচে ব্যাংকে গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিস্ট এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টরের মতো পদেও দুই দশকের বেশি সময় কাটিয়েছেন। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাঁকে ‘ইয়ং গ্লোবাল লিডার ২০১০’ উপাধিতে ভূষিতও করেছে। ওয়ার্ল্ড সিটিস সামিট চলাকালীন সিঙ্গাপুর সরকার তাঁকে ইয়ং লিডার ২০১৪ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। তিনি আবার লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্সের ‘আরবান এজ’-এর স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ডের একজন সিনিয়র ফেলো হিসাবেও পরিচিতি রয়েছে তাঁর।
কে এই জোডি ম্যাকে?
অস্ট্রেলিয়ার জোডি ম্যাকেও এই অধিবেশনে অংশ নেবেন। জোডি ম্যাকে অস্ট্রেলিয়া-ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিলের ডিরেক্টর পদে রয়েছেন। ১৫ বছর ধরে তিনি অস্ট্রেলিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য ছিলেন। ক্যাবিনেট মন্ত্রীও ছিলেন। বিরোধী দলনেতা হিসাবেও কাজ করেছেন। এছাড়াও ম্যাকে সেন্টার ফর অস্ট্রেলিয়া-ইন্ডিয়া রিলেশনসের (CAIR) উপদেষ্টা বোর্ডেরও সদস্য। ভারতের শাড়ির প্রতি তাঁর বিশেষ ভালবাসা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে তিনিই প্রথম নারী যিনি ছয় গজের শাড়ি পরেছিলেন।