Third Wave of Coronavirus: ফেব্রুয়ারিতেই তৃতীয় ঢেউ? ভয় ধরানো তথ্য আইআইটি কানপুরের গবেষকদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Dec 24, 2021 | 9:34 PM

Omicron cases in India: বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের কারণে অনেক দেশে সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে দেখা গিয়েছে। ভারতেও সেই ট্রেন্ড দেখা যেতে পারে, সেই ধারনার ভিত্তিতে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

Third Wave of Coronavirus: ফেব্রুয়ারিতেই তৃতীয় ঢেউ? ভয় ধরানো তথ্য আইআইটি কানপুরের গবেষকদের
কোভিড বিধিতে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার (ফাইল ছবি)

Follow Us

নয়া দিল্লি : ওমিক্রনের হাত ধরেই কি এবার দেশে গুটি গুটি পায়ে ঢুকে পড়বে করোনার তৃতীয় ঢেউ? অন্তত এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছেন কানপুর আইআইটির গবেষকরা। তাঁদের মতে, ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশে করোনার সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছে যেতে পারে। তবে তৃতীয় ঢেউয়ের পূর্বাভাসটি এই ধারণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন ওমিক্রনের কারণে অনেক দেশে সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে দেখা গিয়েছে। ভারতেও সেই ট্রেন্ড দেখা যেতে পারে, সেই ধারনার ভিত্তিতে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

গউসিয়ান মিক্সচার মডেল নামে পরিসংখ্যানগত টুল ব্যবহার করে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর এই রিপোর্টটি প্রকাশ করেন কানপুর আইআইটির গবেষকরা। তবে এই পূর্বাভাসের এখনও পর্যন্ত পিয়ার রিভিউ করা হয়নি। কানপুর আইআইটির গবেষকরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলির করোনার সংক্রমণের তথ্য ব্যবহার করেছেন করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য। এই দেশগুলিতে দৈনিক সংক্রমণের যে পরিসংখ্যান, তার উপর ভিত্তি করে ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব এবং সম্ভব্য সময়ের একটি পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

গবেষণায় ভারতের প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ের প্রাপ্ত তথ্যও ব্যবহার করা হয়েছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমিতের সংখ্যা কতটা বদলাচ্ছে, তা পর্যালোচনা করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী মডেলটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সবথেকে বেশি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। গবেষণার হিসেব অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে দৈনিক সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করোনার সংক্রমণ শীর্ষে থাকবে।

আইআইটি কানপুরের ওই গবেষক দলে রয়েছেন গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগের সবরা পার্শাদ রাজেশভাই, শুভ্রা শঙ্কর ধর এবং শালভকে। তাঁরা আরও উল্লেখ করেন, কেন্দ্রীয় সরকারের টিকা নিয়ে প্রচার একটি ভাল উদ্যোগ কিন্তু “১০০ শতাংশ কার্যকারিতা” পৌঁছতে কিছুটা সময় লাগবে। তাঁদের মতে, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, রাশিয়ার মতো অনেক দেশে, বেশিরভাগ লোককে টিকা দেওয়া হয়েছে তবে এখনও তারা বর্তমানে তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাচ্ছে।”

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে শুক্রবার জানানো হয়েছে, ওমিক্রনে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ৩৫৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। ১১৪ জন এখনও অবধি ওমিক্রনকে জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। মূলত ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে এখনও অবধি ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এখনও অবধি ৮৮ জন এ রাজ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। ৬৭ জন ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন রাজধানীতে।

আরও পড়ুন : Omicron Variant in Kolkata: ক্রিসমাসের কলকাতায় আরও এক ওমিক্রন পজিটিভ! রাজ্যে কোভিডের নতুন স্ট্রেনে আক্রান্ত ৫

Next Article