নয়া দিল্লি : সংসদের অধিবেশন চলাকালীন বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে ১২ সাংসদকে। বিরোধীদের বক্তব্য, সংসদের বাদল অধিবেশনের শেষ দিনের ঘটনার কারণে, ১২ সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। চলতি শীতকালীন অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না তাঁরা। এই ১২ সাংসদের তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলে দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রীও। আর এই নিয়েই আজ কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তৃণমূল শিবির।
আজ দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদরা। সেখানে অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড হওয়া দুই নেত্রীও ছিলেন। সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, “যেহেতু দোলা সেন শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত, তাই তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে। যদি আমাদের কোথাও কোনও ভুল হয়ে থাকে, যদি কোনও অন্যায় হয়ে থাকে, তাহলে ভিডিয়ো প্রকাশ করুক কেন্দ্র।” তিনি আরও বলেন, “আজ কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পাস হওয়ার সময় কোনওরকম আলোচনাই হয়নি। কেবলমাত্র ক্ষমতা বলে ধ্বনিভোট করে বিল পাস করিয়ে নেওয়া হল। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি।”
এদিকে সাংসদদের সাসপেন্ড করা প্রসঙ্গে সুখেন্দু শেখর বলেন, “যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তাঁদের নিজেদের মতামত প্রকাশের সুযোগটুকু দেওয়া হয়নি। এই প্রক্রিয়া অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক।” তাঁর বক্তব্য়, “যদি সংসদ ভবনেই আমাদের আওয়াজ শোনা না যায়, তাহলে আর কোথায় শোনা যাবে? কফি হাউজ়ে?”
উল্লেখ্য, আজ সংসদ থেকে সাসপেন্ড করার পর দোলা সেন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন, বেছে বেছে সাংসদদের নিশানা করা হচ্ছে। আমরা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারি, আওয়াজ তুলতে পারি, তাই আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
উল্লেখ্য দুই তৃণমূল সাংসদ ছাড়াও শিবসেনার প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী, অনিল দেশাই, সিপিআইয়ের লামারাম করিম, বিনয় বিশ্বম, কংগ্রেসের ফুলো দেবী নেতাম, ছায়া ভার্মা, আর বোরা, রাজামণি পটেল, সৈয়দ নাসির হুসেন, অখিলেশ প্রসাদ সিংহকেও গোটা শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে।