নয়া দিল্লি: ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলে কড়া নজর রাখে ইন্ডিয়ান কোস্ট গার্ড। জাহাজ, হেলিকপ্টারে চলে নজরদারি। কোনও ফাঁক দিয়েই যেন জলপথে প্রবেশ করতে না পারে শত্রুপক্ষ। আর সেই কোস্ট গার্ডের তথ্যই পাচার হয়ে যাচ্ছিল পাকিস্তানে। সম্প্রতি এমন অভিযোগ সামনে আসে। কার মাধ্যমে ওই তথ্য যাচ্ছিল, তা খোঁজ করতেই সামনে আসে এক শ্রমিকের নাম।
গুজরাটের উপকূলবর্তী অঞ্চলে কাজ করতেন ওই ব্যক্তি। তাঁকে হাতেনাতে ধরেছে গুজরাটের অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড। ধৃত ব্যক্তির নাম দীপেশ গোহিল। গুজরাটের দ্বারকায় কাজ করেন তিনি।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি অসীমা নামে এক মহিলার সঙ্গে ফেসবুকে ওই ব্যক্তির যোগাযোগ হয়। এটিএস-এর তরফে জানা গিয়েছে, গোহিল একাধিক স্পর্শকাতর তথ্য়, ছবি, ভিডিয়ো পাঠিয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের হ্যান্ডলারের হাতে। দ্বারকার ওখা থেকে ওই তথ্য পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ।
হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সব তথ্য পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ। ওখার বাসিন্দা দীপেশ গোহিল পাকিস্তানের আইএসএআই ও পাক নেভি-র এজেন্ট হিসেবে কাজ করছিলেন বলে দাবি এটিএস-এর। যে নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ, সেই নম্বর পাকিস্তানে বলে চিহ্নিত করতে পেরেছে ভারত।
জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তথ্য পাচার করে দীপেশ মোট ৪২,০০০ টাকা পেয়েছেন। তিনি দিন ২০০ টাকা করে পেতেন ওই কাজ করার জন্য।