মুম্বই: প্রায় একমাস আগে মহারাষ্ট্রের গদি হাতছাড়া হয়েছে শিবসেনা সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের। মন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে উদ্ধব-পুত্র আদিত্যকেও। সরকারের পর শিবসেনার রাশ নিয়ে বিদ্রোহীদের সঙ্গে উদ্ধব শিবিরের লড়াইয়ের জল্পনার মাঝে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন শিবসেনার যুবনেতা আদিত্য। বিদ্রোহী নেতাদের প্রতি বিশেষ বার্তা দিয়ে আদিত্য জানিয়েছেন, “যাঁরা ফিরে আসতে চান, ফিরে আসতে পারেন।” ইন্ডিয়া টুডে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে সহ বিদ্রোহী বিধায়কদের এক হাত নেন। শিন্ডে-বিজেপির সরকারকে ‘বেআইনি’ ও ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়েছেন যুব সেনা নেতা। উদ্ধব ও একনাথ শিবিরের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পাশাপাশি দুই শিবিরের লড়াই সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে। শনিবার উদ্ধব-পুত্র আদিত্য বলেন, “বিদ্রোহী সেনা নেতাদের সঙ্গে আমাদের কোনও যোগাযোগ নেই। আমাদের সঙ্গে শুধুই মানুষের যোগাযোগ রয়েছে।” এদিন মহারাষ্ট্রের শিন্ডে বিজেপি সরকার নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন আদিত্য। তিনি বলেন, “এই অসাংবিধানিক ও বেআইনি সরকার ভেঙে যাবে।”
রাজনৈতিক মহলের মতে উদ্ধবের এই বক্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ইতিমধ্যেই রাজ্যের গদি হাতছাড়া, অন্যদিকে নিজেদেরকে ‘আসল শিবসেনা’ বলে দাবি করে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ, সহ একাধিক বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, আগামী দিনে শিবসেনার রাশ নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে কোন্দল শীর্ষ আদালত অবধি পৌঁছতে পারে। তাই আগে ভাগে বিদ্রোহীদের নিয়ে তুলনামূলকভাবে ‘নরম’ মনোভাব দেখাচ্ছে উদ্ধব শিবির।
উল্লেখ্য, জুন মাসে বিধান পরিষদ নির্বাচনে ক্রস ভোটিং থেকে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছিল। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলীয় সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন একনাথ শিন্ডে। একে একে শিবসেনার টিকিটে নির্বাচিত সিংহভাগ বিধায়ক শিন্ডের দিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তার ঠিক পরেই বিস্তর নাটকের পর বিজেপির সমর্থন নিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয় বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবীসকে। আগামী দিনে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোনদিকে যায় সেটাই এখন দেখার।